মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ব্যালটে পারবে না জেনে ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: কামরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২২, ০৫:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ব্যালটে পারবে না জেনে ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: কামরুল
কামরুল ইসলাম (ফাইল ছবি)

ব্যালটের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরাতে পারবে না জেনে ষড়যন্ত্রকারীরা অন্য পথ বেছে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম।

শনিবার (৪ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, হত্যার হুমকি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে-এই সভার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামরুল ইসলাম বলেন, 'ব্যালটের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরাতে পারবে না জেনে ষড়যন্ত্রকারীরা অন্য পথ বেছে নিয়েছে। পেছনের দরজা দিয়ে কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায়, এজন্য তারা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত চায়।'

ঢাকা-২ আসনের এই সাংসদ বলেন, 'বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়া একাত্তরের ঘাতকদের সঙ্গে আঁতাত করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির মদদে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সেদিন হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক ছিল জিয়াউর রহমান। এখন তাদের উত্তরসুরিরা আজকে স্লোগান দিচ্ছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যারা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসুরিরাই দিচ্ছে এই ধরনের স্লোগান।'

কামরুল ইসলাম বলেন, 'বিএনপির নেতা তারেক রহমান গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আজকে যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে এবং জাতীয় নির্বাচনের দেড় বছর আছে, দেশকে যখন উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা; তখন তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। যেকোনোভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যম তারা হয় শেখ হাসিনাকে হত্যা করবে, না হয় ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করবে।'


বিজ্ঞাপন


‘এরা আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালে যে কাজগুলো তারা করেছে অর্থাৎ অগ্নিসন্ত্রাসসহ যেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে এখন।’- বলেন কামরুল ইসলাম।

বিএনপি গণতান্ত্রিক সুযোগের অপব্যবহার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল আমাদের কোনো মিটিং মিছিল করার সুযোগ দিতো না। আমাদের কোথাও দাঁড়াতেই দেইনি। আজকে তারা প্রেসক্লাবসহ সব জায়গায় মিছিল মিটিং করছে। আমরা তাদের সেই সুযোগ দিয়েছি। এই সুযোগ নিয়ে অগণতান্ত্রিক আচরণ করবেন, সন্ত্রাসের পথে হাটবেন, তাহলে কিন্তু আপনাদের ছাড় দেয়া হবে না।'

আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না এমন মন্তব্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি যাদের শ্রদ্ধাবোধ নেই, সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশে রাজনীতি করে। পৃথিবীর কোনো দেশে সাম্প্রদায়িক এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রাজনীতি করতে পারে না। আমাদের দেশে তারা রাজনীতি করছে এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। যতোদিন পর্যন্ত এই শক্তিকে আমরা নির্মূল করতে না পারব, ততদিন দেশের রাজনীতিতে স্বস্তি ফিরে আসবে না।'

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, 'একাত্তরের খুনি, পঁচাত্তরের খুনি ও ২১ আগস্টের খুনি-এরা এখন অভিন্ন শক্তি। এই খুনিদের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। তারা এখন দেশের আইনশৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়, উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে।'

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, 'আজকে যখন বাংলাদেশে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, তখন তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার কথা বলছে। কী তাদের উদ্দেশ্য, কী তাদের লক্ষ্য? তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য একটাই, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের উন্নয়নের বিপক্ষে দাঁড়ানো। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে।'

বিএনপির উদ্দেশ্যে নাছিম বলেন, 'যদি সন্ত্রাসী কথাবার্তা বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেন; তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। যারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার মতো বক্তব্য দিয়ে মিছিল দেবে তাদের দাতভাঙা জবাব দেয়া হবে। সন্ত্রাসী খুনিদের এদেশ থেকে উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে।'

স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ।

কারই/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর