রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা মডেল থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ১২০ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ আজ এ দুই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।
বিজ্ঞাপন
শাহবাগ ও রমনা মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জিন্নাত বলেন, শাহবাগ থানার নাশকতার মামলায় ফখরুলসহ ৩৭ জন এবং রমনা মডেল থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় ফখরুলসহ ৮৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর শাহবাগ থানার পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মতিউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর ফখরুলসহ ৩৭ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
পরে গত ১২ নভেম্বর আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন। এ মামলায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
অপর মামলায় বলা হয়, ২০২৩ সালের গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক, গেটে হামলা চালায় ও ভেতরে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর এ মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৮৩ জনের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় ডিবি।
গত ১৮ নভেম্বর আদালত এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন। এ মামলার অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু।
জেবি