বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি পছন্দ করে না: মিয়া গোলাম পরওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি পছন্দ করে না: মিয়া গোলাম পরওয়ার
ফাইল ছবি

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানান।  


বিজ্ঞাপন


বিবৃতিতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ২ ডিসেম্বর দুপুরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামে ভারতের একটি উগ্র সংগঠন ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। এ ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের হাইকমিশনে ভাঙচুর চালানো ও জাতীয় পতাকা নামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া জেনেভা কনভেনশন, আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি। এ ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিনষ্ট করার এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ বলেই আমরা মনে করি। 

আরও পড়ুন

একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক আটকে থাকবে না: ভারতীয় হাইকমিশনার

তিনি বলেন, ভারত নিজের দেশে তার প্রতিবেশি দেশের কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা দিতে যেখানে ব্যর্থ, সেখানে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির দেশ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার তাদের থাকতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণ তাদের মাথার ওপর কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না। আমরা বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণকে চোখ-কান খোলা রেখে সজাগ ও সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্যই বিদেশি যেকোনো আগ্রাসন রুখে দিতে পারে।


বিজ্ঞাপন


জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল কথা হলো ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়।’ বাংলাদেশ সহাবস্থানের নীতিতে বিশ্বাসী একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। বাংলাদেশও বিশ্বের সকল দেশের কাছে একই নীতি আশা করে।

তিনি বলেন, আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনসহ সকল হাইকমিশনের নিরাপত্তা বিধান করা ভারত সরকারের দায়িত্ব। 

ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের এবং ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন, কূটনীতিক ও অ-কূটনীতিক কর্মীদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর