সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে দীর্ঘ এক যুগ পর আজ সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে গুলশানের বাসা থেকে যাবেন তিনি।
এর মাধ্যমে ২০১৮ সালের পর খালেদা জিয়া প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ সিলেট সফর করেন।
বিজ্ঞাপন
গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১৩ সালে আমন্ত্রণ পেলেও তিনি যাননি। তবে ওই সময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা গিয়েছিলেন। এরপর আর এই দিবসে বিএনপির নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে মোট ২৬ জন আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এর মধ্যে আরও রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান এবং অন্য পদমর্যাদার সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা। বিগত সময়ে বিএনপি নেতারা আমন্ত্রণ পেতেন না।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এ এস এম কামরুল আহসান এই আমন্ত্রণপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেন। এদিন দুপুরের দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ সিনিয়র নেতার নামে আমন্ত্রণপত্র গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আবদুস সাত্তারের কাছে সেনা কর্মকর্তারা দিয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রতিবছর দিনটি ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।
দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবেই বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস থাকবেন প্রধান অতিথি। রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিদের ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এমআর