গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে এক তরুণীকে আটক করে ছাত্র-জনতা গণপিটুনি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় তাকে রক্ষা করে পুলিশের হাতে তুলে দেন যুব মহিলা দলের নেত্রী বিপ্লবী। কিন্তু তিনি পুলিশের হাতে তাকে তুলে দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ে যান। উল্টো পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে রাখা হয়। পরে কয়েকজন যুবক তাকে চেনেন বলে ছাড়িয়ে নেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। পাশাপাশি পল্লবী মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা মহিলা দলে ত্রাণ সম্পাদক।
পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পর সেই মহিলা যুবদলের নেত্রী বিপ্লবী গণমাধ্যমকে জানান, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে বিকেল বেলা শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন এক তরুণী। ধারণা করা হচ্ছিল তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসেছেন। ছাত্র জনতা তাকে মারধর করার চেষ্টা করছিল। এ সময় তিনি তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর নিরাপদে পুলিশের কাছে নিয়ে যান এবং তাকে তাদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু পুলিশ তাকে উল্টো আটক করে।
বিপ্লবী বলেন, যেহেতু তরুণীটা মেয়ে। এ কারণে তারা তো পুরুষ হয়ে তাকে মারতে পারে না। এজন্য আমরা তো মহিলারা আছি। সে কারণে আমি তাকে হাত দিয়ে ঘিরে ধরে পুলিশের কাছে নিয়ে গেলাম। কিন্তু পুলিশ উল্টো আমাকে আটক করল। আমি এতবার তাদের বোঝাতে চেষ্টা করছি আমি বিএনপি নেত্রী। কিন্তু তারা কোনোভাবে বুঝতে চাই ছিল না। বারবার বলছিল আপনি বেশি কথা বলেন চুপ করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট সরকার চলে গেলেও পুলিশে এখনো তাদের প্রেতাত্মারা আছেন। তা না হলে আমি বিএনপির মহিলা দলের একজন নেত্রী পরিচয় দেওয়ার পরও তারা আমার সাথে কেন এমন আচরণ করল! এ সময় তার পাশে থাকা এক যুবককে দেখিয়ে বলেন, এই ছোট ভাই না থাকলে আমাকে আজ থানায় নিয়ে যেত।
বিজ্ঞাপন
পরে তিনি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার পর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে চলে যান।
এমআইকে/এএস

