শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

তাজউদ্দীন কন্যার কণ্ঠে আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img
তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে শারমিন আহমদ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ‘মাফিয়া লীগে’ পরিণত হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা কিংবা শেখ পরিবারের কারও হাত ধরে আওয়ামী লীগের আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।

বেসরকারি টেলিভিশন বাংলা ভিশনকে গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


তিনি মনে করেন আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে পারে, তবে এর জন্য শর্ত হলো জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে। অনুশোচনাবোধ থাকতে হবে। পরিচ্ছন্ন লোকদের হাতে দলের নেতৃত্ব দিতে হবে। শারমিন আহমদ বলেন, মাফিয়াতন্ত্রের সাথে জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কার করে, পরিচ্ছন্ন কারোর হাতে নেতৃত্ব দিলে এক বা দুই যুগ পরে আওয়ামী লীগ আবার দেশে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসতে পারে। তবে আপাতত এ ধরনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন

অচিরেই হাসিনা ও আ.লীগের দেশে জায়গা হবে না: ড. ইউনূস

হাসিনার আরেক ফোনালাপ ফাঁস, ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষার নির্দেশ

পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিতকরণে তার মা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার মা তখন দলের হাল ধরেছিলেন। কিন্তু পরে সে দলটি হাইজ্যাক হয়ে গেল এবং একটি পরিবারের হাতে বন্দী হয়ে গেল। এবারের প্রেক্ষাপটটি কিন্তু আরও ভিন্ন। কারণ, গণঅভ্যুত্থানের সময় এবার এ দলটির হাতে এত এত তরুণের মৃত্যু, জগণের মৃত্যু, মানুষের দেহে এখনও বুলেট। কাজেই আমরা কেন আওয়ামী লীগে যাব? এ আওয়ামী লীগতো একটি মাফিয়া লীগ। এমন আওয়ামী লীগ আমরা কেন করব, যাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই।

33


বিজ্ঞাপন


তাজউদ্দীন কন্যা বলেন, আওয়ামী লীগের ভালো লোকগুলোকে একত্র করে, জনতার পাশে দাঁড়িয়ে মাফিয়া লীগের নেতৃত্বে যারা ছিল তাদের বহিষ্কারের দাবি জানাতে হবে।

এ সময় তিনি জাতির পিতা প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বলার আগে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধে কার কী ভূমিকা ছিল সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। এটা জনগণই নির্ধারণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের আসল ঘটনা জাতির সামনে খুলে দেওয়া হলে জনগণই সেটা বিবেচনা করবে, কার কী ভূমিকা ছিল। জনগণ যদি দেখে মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তাহলে তারাই সেটা ঠিক করবে। আর জনগণ যদি জনগণ মনে করে, তার সেই ধরনের ভূমিকা ছিল না, তাহলে সেটা হবে না।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub