গত জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে সামনে থেকে ছাত্র-জনতা নেতৃত্ব দিলেও পেছন থেকে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো পরিকল্পিতভাবে মাস্টারপ্ল্যান করে সামনের দিকে অগ্রসর হয়েছে। সেই পরিকল্পনা গণঅধিকার পরিষদ দিয়েছে বলে দাবি করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
রাশেদ খান বলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা বিএনপিকে গণঅধিকার পরিষদকে রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতে চিঠি দিয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ এখনো কোনো দলের সাথে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে চিঠি দেওয়ার কারণ তার জানা নেই। এটি বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত। আগামী দিনে গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে বলেও জানান তিনি।
ঝিনাইদহবাসীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমি আপনাদের ছেলে, আপনাদের ভাই, আপনাদের সন্তান। আমি সব সময় আমার নিজ এলাকার উন্নয়নের কথা ভাবি। আগামী দিনে এ জেলার স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষা, উন্নত কৃষি ব্যবস্থা ও বেকারত্ব দূরীকরণে আমার ব্যক্তিগত পরিকল্পনা রয়েছে। এত বড় একটি জেলার স্বাস্থ্যখাতে গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করেনি। যে কারণে জেলার একমাত্র ২৫০ শয্যা হাসপাতালটির লিফট পর্যন্ত অচল হয়ে আছে। এ জেলার মানুষ কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পায়নি।
ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় দলটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, জেলা গণমাধ্যম আহ্বায়ক মিশন আলীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/জেবি