বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির দাবির পর নেওয়া হয়।
নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ:
বিজ্ঞাপন
১. অপরাধমূলক কার্যকলাপ: সরকার জানায়, ছাত্রলীগ বিগত ১৫ বছরে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, সিট-বাণিজ্য, এবং বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এসবের প্রমাণ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং আদালতে কিছু ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে।
২. অন্যায় আক্রমণ: গত ১৫ জুলাই থেকে চলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অনেক নিরপরাধ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
৩. ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ: সরকার উল্লেখ করে যে, ছাত্রলীগ গত ৫ আগস্টের পরে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে।
তথ্য-প্রমাণ: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এসব কর্মকাণ্ডের প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে এবং সরকার ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর আওতায় নিষিদ্ধ করেছে।
বিজ্ঞাপন
আন্দোলনের প্রেক্ষাপট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। আন্দোলনের সদস্যরা ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
আনন্দমিছিল: ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আনন্দমিছিল করেছে এবং তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সমাবেশ করেছে।
ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৮ সালে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি, তারা নিজেদের মধ্যে দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং এর ফলে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।
/একেবি/