বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির অবস্থান সন্তোষজনক ছিল না-এমন অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি মো. আল-মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান পদত্যাগ করেন।
বিজ্ঞাপন
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ছাত্র সমাজের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পার্টির অবস্থান সাংঘর্ষিক হওয়ায় আমরা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ গত ১৩ আগস্টে কোটা আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে বিবৃতি এবং ১৭ জুলাই কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম এবং সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ছিল আমাদের। সারাদেশে জাতীয় ছাত্র সমাজের অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে পার্টির অবস্থান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টিকে সংলাপে না ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৃতীয় দফার সংলাপে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় পার্টিকে ডাকেনি।
আগের দুইবার সংলাপে ডাক পেলেও এবার ডাক না পেয়ে বিব্রত জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সংলাপে ডাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছে জাতীয় পার্টি। দলটির পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচিত নেতা হাসানাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
জেবি