সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক আ.লীগ কখনও চায়নি: শিমুল বিশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক আ.লীগ কখনও চায়নি: শিমুল বিশ্বাস

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও শ্রমিক দলের সমম্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র কখনও একসঙ্গে যায় না। এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক তা কখনও তারা চায়নি। তাই এ দলটি গণতান্ত্রিক সরকারকে ষড়যন্ত্র করে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করে।

শিমুল বিশ্বাস বলেন, ছাত্র-শ্রমিক জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতনের পর এবারও দেশে যে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে সে গণতন্ত্রকে আবার নিঃশেষ করতে তারা তাদের চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে।


বিজ্ঞাপন


শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নরসিংদী বাস টার্মিনালে জেলা শ্রমিক দল আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য প্রতিহতের প্রতিবাদে শ্রমিক দলের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শিমুল বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের সৃষ্ট শিল্পকারখানা, বন্দর, পরিবহন সেক্টর, ঔষধ শিল্প, গার্মেন্টস সেক্টরের নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা ও কারখানায় কারখানায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে ও শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।

নরসিংদী জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবির সভাপত্বিতে শ্রমিক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।

simul-2


বিজ্ঞাপন


শিমুল বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে না, বহিঃশক্তির দোসর হিসেবে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেওয়ার শর্তে তাদের প্রভুরাষ্ট্রই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। আর যখনই দেশের মানুষ আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তখনই জনগণকে গুম, খুন শুরু করে। জনগনের ওপর চালায় অত্যাচারের স্টিম রোলার।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী বলেন, একটি দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে হলে প্রথমেই শিল্পকারখানা ধ্বংস করতে হয়। শিল্প প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ধীরে ধীরে তাই করেছে। তাদের প্রভুরাষ্ট্রের পরামর্শে সে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রেখেছে।

সমাবেশে খায়রুল কবির খোকন বলেন, দেশের মানুষকে হত্যা করেও ক্ষান্ত হননি শেখ হাসিনা। এখন দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। আবার তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবি করেন। তারা যদি মনেপ্রাণে মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাস করতো তাহলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতো না। শান্তিকামী ছাত্রজনতাকে পাখির মতেকা গুলি করে হত্যা করতো না। দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করতো না। আজকে যদি হত্যাকারী ও লুটেরা আওয়ামী লীগের বিচার না হয় তাহলে ভবিষ্যতে এরা আবার ফনা তুলতে পারে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন-নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মন্জুর এলাহি, বিএনপির সহ শ্রম সম্পাদক হুমায়ন কবির খান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম রফিক, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, খোরশেদ আলম, পাট শ্রমিক দলের সভাপতি আবুল খায়ের খাজা প্রমুখ।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর