মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

আহত-নিহতদের তালিকা প্রকাশসহ তাদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

আহত-নিহতদের তালিকা প্রকাশসহ তাদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের তালিকা প্রকাশ এবং শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিলসহ অন্যান্য শহীদের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি তুলেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। 

শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন মিরপুর শাখার আয়োজনে মিরপুর-১০ নম্বর চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবিতে জানানো হয়। ইয়াসিন খানের সভাপতিত্বে ও জহির রায়হানের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন


মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, চব্বিশের শহীদেরা শুধুমাত্র হাসিনার পতনের জন্য জীবন দেয়নি। তারা জীবন দিয়েছে এমন রাষ্ট্রকাঠামো প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত থাকবে। রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক রূপান্তর না হওয়ার আগ পর্যন্ত শহীদরা তাদের যথাযথ মর্যাদা পাবে না।

ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড তার বক্তব্যে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদ ও আহতদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের কর্তব্য। পাশাপাশি যারা শাকিল সহ আমাদের ভাইদের হত্যায় জড়িত ছিলো তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আহত ও শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি জানাই।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে তাকে ধরে রাখতে হবে,ইদানিং কিছু কায়েমি শক্তি বিভেদ-বিভাজনের সেই পুরনো রাজনীতির মাধ্যমে ঐক্যকে ভেঙে দিতে সচেষ্ট,এদের ঘৃণা ও বিদ্বেষের বিষবাষ্প সমাজের মধ্যে নানান নৈরাজ্যের জন্ম দিচ্ছে। ছাত্র-জনতাকে এইসকল নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শক্তি নিয়ে মাঠে থাকবার আহ্বান জানাই।

ঢাকা মহানগর সভাপতি আল আমীন রহমান তার বক্তব্যে বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রক্তের ওপর দাড়িয়ে আজ আমরা নতুন এক বাংলাদেশে পেয়েছি। যেই রাষ্ট্র হবে জনগণের রাষ্ট্র৷ যেখানে কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থাকবে না, রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর আমুল সংস্কার আনতে হবে। যার মধ্যে দিয়ে যেন এখানে কোনও সরকার ক্ষমতায় এসে আর স্বৈরাচার হয়ে উঠতে না পারে।


বিজ্ঞাপন


গণসংহতি আন্দোলন মিরপুর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রতন তালুকদার বলেন, আগস্টের ২, ৩, ৪ তারিখ মিরপুর অঞ্চলে যে গণ প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল, তাতে অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে সামনের কাতারে মাথায় গুলিবিদ্ধ ১০ নম্বর এ মহাপ্রতিরোধ ব্যারিকেড গড়তে গিয়ে শাকিলের সাথে আরও অনেক ছাত্র সেদিন আহত নিহতের স্বীকার হন ফ্যাসিস্ট হাসিনার গুন্ডা বাহিনী যুবলীগ, ছাত্রলীগ কর্তৃক। সেচ্চাসেবক লীগের সাচ্চু, যুবলীগ সন্ত্রাসী নিখিল, মোল্লা পরিবারের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহায়তায় ছাত্রদের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে হত্যা করে বহু ছাত্র-জনতা। আমরা সকল হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাই।

মহানগর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হনের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে ইয়াসিন খান বলেন, মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরের সহ সভাপতি তুহিন ফরাজি, রবেন বম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অনুপম রায় রূপক, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈকত মল্লিক, মিরপুর শাখার সংগঠক রাব্বি প্রমুখ। 

মানববন্ধন শেষে মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত অবস্থায় একটি সংক্ষিপ্ত মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

কারই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর