ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, পদত্যাগী নির্বাচন কমিশনের বিচার করতে হবে। আমি বলেছি অবৈধ নির্বাচনের হোতা নুরুল হুদা কমিশনের বিচার করতে না পারলেও তার কবরে ঝাড়ু ঝুলিয়ে বিচার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আগামীর বাংলাদেশ-যুব সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, বিগত বাংলাদেশ কেমন ছিলো এর ওপর নির্ভর করবে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে? গণতন্ত্রের বিষয়ে শেখ হাসিনা যত কথা বলেছে তার চেয়ে ভালো কথা তেমন কেউ বলেনি। এখানে মূল কথা হচ্ছে নীতি ও আদর্শ। সুপ্রিমকোর্টের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সরকার পরিবর্তনের পরে পদত্যাগ করাকে আপনি কি ভাববেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ দায়িত্বশীলরা পদত্যাগ করাকে কি বলা যাবে। অতীতের বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপিকে যদি ক্ষমতায় আনা হয় তবে আর নতুন বাংলাদেশ কেমন হবে? ৫ আগষ্টের পরে যে চাঁদাবাজ, দখলদারিত্ব চালিয়েছে তাদেরকে ক্ষমতায় আনলে কি হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের সর্বত্র দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের ভাষ্য অনুযায়ী এমন অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা আর হয়নি। ইসলাম আসলে সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নিচের থেকে উপরের পর্যায়ে মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা থাকবে। গরিব দেশের ডিসি, এসপির পেছনে যে অর্থ ব্যায় হয়, তাতে তারা মনে করে দেশ গরিব নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরে গেছি। বাজেটের বৃহৎ অর্থ যায় রাস্ট্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতার পেছনে। বাজেটের অর্থ জনগণের কল্যাণে কম ব্যয় হয়। আদর্শ ও নীতি অনুযায়ী আমরা চললে বাংলাদেশ হবে শ্রেষ্ঠ দেশ। আমার দেশের মেধাবীদের মর্যাদা দেওয়া হয় না। ক্যামব্রিজ ও অক্সফোর্ডে বাংলাদেশের ছেলেরা ভালো রেজাল্ট করে।
ফয়জুল করিম বলেন, আজকে মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি, জুলুম অত্যাচার হোক তা আমি চাই না। আওয়ামী লীগ করার কারণে নিরপরাধ কারও নামে মিথ্যা মামলা হোক তা চাই না। সাধারণ জনগণের চেয়ে সরকারি কর্মচারীরা কোনোভাবে অতিরিক্ত কিছু পেতে পারবে না। বিধবা, মিসকিন এতিমদের কোনো টাকার অপচয় হোক এটা আমরা চাই না। পিআর সিস্টেম এ নির্বাচন করলে ভালো কিছু মানুষ রাস্ট্র পরিচালনায় আসতে পারবে। যারা চুরি করেছে তাদেরকে রাস্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মো. নেছার উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজনৈতিক বিশ্লষক ড.ফায়জুল হক, অর্থনীতির গবেষক আবদুল্লাহ মাসুদ, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব শাহ ইফতেখার আহসান তারেক, বিকল্প যুব ধারা সভাপতি আসাদুজ্জামান বাচ্চু, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম আবরার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী, ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাইমেন ফারুকী প্রমুখ।
বিইউ/এমএইচএম