ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অবশ্যই রাজনৈতিক ও দলীয় কোন্দল রয়েছে বলে মনে করেন নিহতের মেয়ে মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
ডরিন বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দল তো আছে। না হলে কেন তারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকবে! তারা তো সবকিছু জানত। আমাকে সান্ত্বনা দিতেও এসেছিল। তারা আমাকে কেন বলেনি? আমি যখন সাংবাদিক ভাইদের বলেছি আমার বাবা নিখোঁজ, আপনারা খোঁজ করেন। আমি ডিবিপ্রধানের কাছে গেছি। ডিবি পুলিশের কাছে গেছি যে, আমাকে সহযোগিতা করুন। তখন তারা কেন আমাকে জানাল না! পুলিশের সহযোগিতা কেন নিল না! তিনি জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক। তার কি দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না একজন তিনবারের নৌকা প্রতীক নিয়ে পাঠিয়েছে।
আনারকন্যা আরও বলেন, তথ্য গোপন করা হয়েছে। আপনারা জানেন যে তথ্য গোপন করা একটি অপরাধ। আপনারা জানেন যে ঝিনাইদহ গিয়ে তিনটি মোবাইল উদ্ধারের জন্য কাজ করেছে। মোবাইল তিনটি কিন্তু তারা পায়নি। আলামত নষ্ট করাও একটি অপরাধ। আমি চাই প্রত্যেকটি অপরাধের শাস্তি হোক।
ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেফতারের বিষয় তিনি বলেন, আপনার একটা জিনিস দেখেন। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের দুজন নেতা গ্রেফতার হয়েছে। কেন গ্রেফতার হলো? যথেষ্ট তথ্য আছে। আপনারা জানেন মূল কিলার শিমুল ভূঁইয়া। তিনি কিন্তু আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন গ্যাস বাবুর কথা। সাইদুল করিম মিন্টু সাহেবের কথা কিন্তু তারা বলেছেন। এই গ্যাস বাবু কিন্তু আদালতে গিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে গিয়ে সাইদুল করিম মিন্টু চাচার কথা বলেছেন। অবশ্যই তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি আমি বিশ্বাস করি এবং যে তদন্ত হচ্ছে, এই তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এমআইকে/এমএইচটি

