ভারত রাজনৈতিক আর চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের বন্ধু বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু আর চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু। উন্নয়নের জন্য যেখানে সুযোগ সুবিধা পাব তা কেন নেব না? এতে কারও কারও অন্তর্জ্বালা। সরকারের মেগা উন্নয়ন নিয়ে অনেকের অন্তর্জালা।’
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর বেইলি রোডে ‘শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে’ পাহাড়ি ফল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ফরেন পলিসি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। ১৯৭১ সাল থেকে ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। দুঃসময়ের বন্ধুদের আমরা ভুলে যেতে পারি না। ২১ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে কী অর্জন করেছে ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো?
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ৬৮ বছর পর আমরা আমাদের সীমান্ত সমস্যা সমাধান করতে পেরেছি। ছিটমহল সমস্যা সমাধান করেছে শেখ হাসিনা। গঙ্গার পানি চুক্তি করেছে শেখ হাসিনা। যারা বড় বড় কথা বলে তারা গঙ্গার পানি চুক্তির কথা ভুলেই গিয়েছিল। এবার ভারত থেকে শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরেননি।
বিজ্ঞাপন
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্টনারশিপ রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু। এ দেশে বহু উন্নয়নে চীনের অবদান আছে। সাহায্য পেলে আমরা সাহায্য কেনো নেব না? দেশের উন্নয়নের জন্য যেখানে সাহায্য দরকার, আমরা সেখান থেকে সাহায্য নেব। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে এসব নিয়ে অনেকের জ্বলে, যাদের জ্বলে তাদের মন্তব্যের কোনো জবাব আমরা দেব না।
বিএনপি খালেদা জিয়া ঢাল বানাচ্ছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সুকিচিৎসা নিয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি। খালেদা জিয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ দেখিয়ে লাভ নেই, এটা আইনের ব্যাপার। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি। তাকে ঢাল বানাচ্ছে। একটা আন্দোলনও করেনি চিকিৎসা নিয়ে। আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি এখন কোটা আন্দোলন আর শিক্ষকদের আন্দোলনের ওপর ভর করেছে।
এমআর