সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রাজনীতি করলে কি ব্যবসার অধিকার নেই, জিজ্ঞাসা কাদেরের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

রাজনীতি করলে কি ব্যবসার অধিকার নেই, জিজ্ঞাসা কাদেরের
ছবি: সংগৃহীত

কেউ রাজনীতি করলে তিনি কি ব্যবসা করতে পারবেন না এমন জিজ্ঞাসা সাংবাদিকদের প্রতি ছুড়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রাজনীতি করলে কি ব্যবসা করার অধিকার থাকবে না? চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার চালাবে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ব্যবসা করলে তো আপত্তি নেই৷ সৎ ব্যবসা করলে আপত্তি নেই। অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’


বিজ্ঞাপন


শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশস্থল পরিদর্শন করতে উদ্যানে আসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

রাজনীতিবিদদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে এমন অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘সুপরিকল্পিতভাবে ওয়ান ইলেভেনে যেটা দেখেছি দেশের রাজনীতিবিদদের নিন্দিত করা, কুৎসা রটানো৷ এ দেশ স্বাধীন করেছে, দেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদেরা। সেই রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে ও তারা ব্যর্থ এটা প্রমাণ করতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা সেটা বুঝি, এর বিরুদ্ধে প্রস্তুতও আছি।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আমরা প্রস্তুত। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের আয়োজন সম্পন্ন। আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা আনন্দঘন, উৎসবমুখর হয়েছে। আগামীকাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও স্বতস্ফূর্ত, সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন উপস্থিতি হবে।’

কাদের বলেন, ‘নির্ধিদ্বায় বলতে পারি, বাঙালির জীবিনে দুটি সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরে৷ স্বাধীনতা আর বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে শ্রেষ্ঠ উপহার উন্নয়ন। উন্নয়ন আর অর্জনে একাকার হয়ে গেছে।’


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগকে দুর্নীতিবাজ দল প্রমাণের চক্রান্ত চলছে: কাদের

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, ‘অপ্রাপ্তির বিষয় সেভাবে দেখছি না। প্রাপ্তির খাতায় হিসাব করে এগিয়ে যাচ্ছি৷ বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাপ্তিটা রাজনৈতিক। আমাদের অসমাপ্ত কাজ বিজয়কে সুসংহত করতে পারিনি৷ সাম্প্রদায়িকতা বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় হয়ে আছে। এই সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা ও পরাভূত করা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করবে৷’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের বার্তা নতুন কিছু না৷ আমরা আমাদের পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন। আমরা একদিক থেকে বলতে পারি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, এটা আমাদের অঙ্গীকার।’ 

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান, যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো, এমআরটি লাইন ১ ও ৫, মাতারবাড়ি, পায়রা, রূপপুর এই কাজগুলো সুসম্পন্ন করতে হবে। এটাই দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকব।’

এসময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুল ইসলাম, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কারই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর