ছাত্রলীগের পদে থাকা অবস্থায় অভিযোগ ওঠে ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত বিবাহিত৷এক নারী তাকে নিজের স্বামী দাবি করেন। তবে তা অস্বীকার করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতকে (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) তার স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
তবে অব্যাহতির কারণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
অব্যাহতির পরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে স্ত্রীসহ ওই ছাত্রলীগ নেতার ছবি। নিজ ফেসবুক ওয়ালেও স্ত্রীকে সামনে এনেছেন তিনি।
আরও পড়ুন
এর আগে গোপনে বিয়ে করার পর সাড়ে সাত বছরেও স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দেওয়ায় প্রতারণার অভিযোগ ওঠে ফুয়াদের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী তরুণী গত ১৮ এপ্রিল এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে অভিযোগ দেন।
তরুণীর ভাষ্য, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি মীমাংসার দায়িত্ব দেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে। ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে বসার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। তার আগেই ৩ এপ্রিল ওই তরুণীকে সমাধানের জন্য নিজ বাসায় ডাকেন এবং নির্যাতন করেন৷পরে আইনের আশ্রয় নেন তরুণী।
তবে গোপনে বিয়ে করে স্ত্রীকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ফুয়াদ। অভিযোগকে পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ওই তরুণীর সঙ্গে তার কখনো বিয়ে হয়নি। তার সম্মানহানির উদ্দেশ্যে ওই নারী মিথ্যা অভিযোগ করছেন। ওই নারীর বিরুদ্ধে তিনি একাধিক জিডি করেছেন।
তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর পুরো দৃশ্যপট যেনো পাল্টে গেলো। ওই তরুণীকেই স্ত্রী হিসেবে সামনে নিয়ে আসলেন তিনি।
কারই/এমএইচএম

