সম্মেলনের প্রায় দেড় বছর পর পূর্ণাঙ্গ রূপ পাচ্ছে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি৷ এতে পুরনোদের পাশাপাশি নতুনরাও স্থান পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর এরই মধ্যে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে জমা দিয়েছে। অন্যদিকে যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ দুই-একদিনের মধ্যে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেবে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
কমিটি যাচাই-বাছাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের চেয়ারম্যান আলেয়া সারোয়ার ডেইজি।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রের দপ্তরে জমা দিয়েছি। পাপিয়ার মতো কারও নাম আমরা দেইনি। যাদের নাম দিয়েছি তারা ত্যাগী, মাঠের মানুষ। যারা দলের দুর্দিনেও মাঠে ছিল, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে।
অন্যদিকে কমিটি প্রস্তুত হলেও এখনো তা কেন্দ্রে জমা দিতে পারেনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব মহিলা লীগ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নিলুফা রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের কমিটি রেডি আছে৷ দুই-একদিনের মধ্যেই কেন্দ্রে জমা দিয়ে দেব।
কমিটির আকার কেমন হতে পারে এবং কাদেরকে তালিকায় রাখা হয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একেবারে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদেরকে রেখেছি। একশর মতো হবে৷ সবাই মাঠের। নতুনও কিছু আছে। তবে তারাও সাংগঠনিক, মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। যোগ্যতা বিবেচনায় তাদেরকে রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা হাতে পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আলেয়া সারোয়ার ডেইজি।
ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, কমিটির তালিকা জমা হলে আমরা যাচাই-বাছাই করবো। বিতর্কিতদের জায়গা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মাঠের কর্মীরাই প্রাধান্য পাবে।
এদিকে ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলা কমিটির মেয়াদ হয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে আলেয়া সারোয়ার ডেইজি বলেন, অনেক কমিটি আছে যার মেয়াদ নেই, অনেক পুরনো কমিটি। কিছু বিতর্কিত কমিটিও আছে। সেগুলোর বিষয়ে ইতিমধ্যে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা কর্মীসভা করবো৷ ওই কমিটিগুলো ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি দেব।
এর আগে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান করা হয় আলেয়া সারোয়ার ডেইজিকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী শারমিন সুলতানা লিলিকে। সম্মেলনের সাত মাস পর কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়।
একই সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি করা হয় তাহেরা খাতুনকে, সাধারণ সম্পাদক হন শামীমা রহমান। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব মহিলা লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান ফারজানা ইয়াসমিন, আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় নিলুফা রহমানকে৷ এরপর দেড় বছর অতিবাহিত হলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি।
কারই