উপজেলা নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, যেখানে মানুষ ভোট দিতে পারে না সেই নির্বাচনে আমরা অংশ নেই না। ৭ জানুয়ারির মতো আমরা উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছি।
শনিবার (৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্রেফতার হওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন আব্বাস।
বিজ্ঞাপন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিবের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সরকার উৎখাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা তো সরকারই দেখি না। এটা নির্বাচন করে সরকার হয়নি। সুতরাং এ সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে, তখন এই সরকারকে ফেলে দেবে। তারা ক্ষমতা থাকতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বর্ণনার সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, কি বিচিত্র বাংলাদেশ। একশ টাকার জন্য চোরের হাত বেঁধে রাখেন, এক হাজার কোটি টাকা যারা চুরি করেন, তাদের স্যালুট দেন’। এই তো বাংলাদেশ।
ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশে কি করুণ অবস্থা। এইটা বিশ্বের সবাই জানে, বাংলাদেশ কি দূরাবস্থার ভেতর আছে। আর তার চেয়ে বেশি জানে বিএনপি নেতাকর্মীরা, তারা কি অবস্থায় আছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিদিন আমার বাসায় ৫০ থেকে ১০০ জন অভিভাবক, স্ত্রী-সন্তান আমার কাছে আসে এমনটা জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, কেউ বলে আমার বাবা জেলে, কেউ বলে আমার স্বামী জেলে, কেউ বলে আমার ছেলে জেলে, কেউ বলে আমার ভাই জেলে। কত জনের জন্য কথা বলব, আর কত জনের জন্য সান্ত্বনা দেব।
এই দেশ স্বাধীন করেছিল জিয়াউর রহমান এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। তার দল বিএনপির যে নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুর মিছিলে শামিল হয়েছেন এখন। আল্লাহই জানেন কয়দিন পরে তার কি হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিনের সভাপতিতে ও সাধারণ সম্পাদক জয়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সহ- সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পীসহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পার্থ দেব মন্ডল প্রমুখ।
এমআর

