উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের প্রার্থী না করার ব্যাপারে যখন কঠোর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তখন খোদ দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের দুই সদস্য নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন। আর একই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন তার ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে তাদের নাম দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এ ব্যাপারে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, আমার একজন স্বজনও (ভাই) উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না। আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে কি না সেটাই সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন
কাদের বলেন, পার্টির কারও এর সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারও এর সঙ্গে কোনো সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা আমি মুখে বলব একটা আর কাজে করব আরেকটা, এতে আমি বিশ্বাসী নই। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের আরেক ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বিরোধের বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সময় আলোচনায় এলেও বর্তমানে দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো বলে জানা গেছে। তবে উপজেলা নির্বাচনে কাদের মির্জা ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনকে সমর্থন করছেন না বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
জেবি