শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ঢাকা

বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী দমন-পীড়নের শিকার: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী সরকারের দমন পীড়নের শিকার: ফখরুল

বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী সরকারের দমন-পীড়নের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারের মাঝে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়ার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের নির্যাতনের প্রথম শিকার খালেদা জিয়া। গতরাতেও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মনে হয়েছিল হয়তো আর সময় পাওয়া যাবে না। আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া। সেই অবস্থা ফিরে আনতে সক্ষম হয়েছে।

আরও পড়ুন

বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়িতে কাঁথাও বানায় না: রিজভী

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আটক করে বিভিন্ন মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়। এখনও তিনি নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন।

গুম, খুন ও নিপীড়ন নির্যাতনের স্বীকার হওয়া পরিবারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ অবস্থা সারাদেশের, শুধু বিএনপির নয়। পুরো বাংলাদশের মানুষের একই অবস্থা। পুরো দেশের মানুষ ভয়ে আতঙ্কে থাকে কখন কাকে কীভাবে তুলে নিয়ে যায়। কোনো নিশ্চয়তা নেই।


বিজ্ঞাপন


fakrul-1

সামনে উপস্থিত শিশু -তরুণদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তোমরা আশা হারাবে না। কখনো ভাববে না সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। কোন হতাশা যেন কাজ না করে। মনে রাখতে হবে গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন। সেই আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হব।’

সরকারকে পরাজিত করাই মুক্তির একমাত্র পথ এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের জনগণের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। একাত্তরে যুদ্ধের সময় মানুষ যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল একইভাবে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুক্তির পথ একটাই তা হলো সরকারকে পরাজিত করা।

তিনি বলেন, দমন নিপীড়নের কবলে পড়ে আজ অনেকে বাবাকে ফিরে পেতে চায়। ছোট থাকতে বাবাকে হারিয়েছে। গুম করে রাখা হয়েছে বেঁচে আছে নাকি নেই তাও পরিবারের লোকজন জানে না। কেউ কেউ অনেক বড় হয়েছে তবুও হাসি মুখে কথা বলতে পারে না। এই হচ্ছে আমাদের নির্যাতিত, নিপীড়িত, খুন হওয়া, গুম হওয়া অসহায় পরিবারগুলোর বর্তমান অবস্থা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ শুধু এই পরিবার গুলোর নয়। সারা বাংলাদেশের একি অবস্থা শুরু হয়েছে। আমাদের দলের শুধু নয়। সারাদেশে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে মানুষ সব সময় একটা ভয়ে থাকে। ত্রাসে থাকে। কখন কাকে কীভাবে তুলে নিয়ে যায়। কোনো নিশ্চয়তা নেই।

‘এটা ভয়াবহ, একটা জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ কি? সেই মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু লড়াই সংগ্রাম করা যায়, তার থেকেও বেশি সংগ্রাম আমরা করছি,’ বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণ চায়, এটা কোনো দল-মত-বর্ণ নয়, বাংলাদেশের মানুষের, সেই ’৭১ সালের যুদ্ধের সময় যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, ’৬৯ এবং ’৯০ সালে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, ঠিক একইভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ এদের থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই পথ, এদেরকে পরাজিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এদেরকে পরাজিত করতে না পারলে আমরা তো মুক্তি পাচ্ছি না। এই নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। সুতরাং আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করা। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে গোটা জাতিকে সমন্বিত করা। তারপর বিদ্রোহ, প্রতিরোধ সৃষ্টি করে এদেরকে পরাজিত করা।

পরে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার ২১ নেতাকর্মীর পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন ফখরুল।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর