মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে পুলিশ আটক করলেও কুয়ালালামপুর হাইকোর্টে মামলা চলার কারণে তাকে দেশে না পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে।
নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ বুধবার দেশটির হাইকোর্টের বিচারক কে মুনিয়ান্দিকে তাদের এ অবস্থানের কথা জানিয়েছে। ইমিগ্রেশন বিভাগের পক্ষে ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর নর আমালিনা ইসমাইল অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে গত ১২ জানুয়ারি কাইয়ুমকে গ্রেফতার করে মালয়েশিয়ার পুলিশ। দুই দিন পর ১৫ জানুয়ারি জানুয়ারি কাইয়ুমের জন্য হেবিয়াস কর্পাস (বন্দিকে প্রদর্শন) আবেদন করা হয়। এরপর ১৮ জানুয়ারি ওই আবেদন গ্রহণ করে ৫ এপ্রিল শুনানির দিন রাখেন বিচারক।
এর মধ্যে ইমিগ্রেশন বিভাগের যে চিঠি পেয়েছে কাইয়ুমের পরিবার- তা ‘আদালত অবমাননার শামিল’ বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী বন। এখন ইমিগ্রেশন বিভাগ অঙ্গীকারনামা দেওয়ায় শুনানির আগে কাইয়ুমকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যাসহ বহু ফৌজদারি মামলার আসামি ঢাকা উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ কাইয়ুম। ২০১৫ সাল থেকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইউএনএইচসিআরের তালিকাভূক্ত শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করছেন তিনি।
সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গেল বছরের শেষে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল হয়। এ অবস্থায় অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে পুলিশ আটক করলেও কুয়ালালামপুর হাইকোর্টে চলা মামলার কারণে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর কথা জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
এমএইচএম