গেল ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দিতে বলা হয়েছে ওই কমিটিকে।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত কমিটির নেতাদের নাম প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গত ৭ জানুয়ারি তামাশার নির্বাচনের পূর্বাপর সহিংস ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনও ব্যাপকভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাদের ওপর চলেছে বর্বর নিপীড়ন-নির্যাতন। দেশের অনেক জায়গায় রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছিল আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ডামি নির্বাচনে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট, গুরুতর জখম, এলাকা ছাড়ার হুমকিসহ নিপীড়ন-নির্যাতন সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীকে। এছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, সুপ্রিম কোট বার অ্যাসোসিয়েশন’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির ধর্মবিষয়ক সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ দত্ত, যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলবার্ট ডি কস্টা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে, যুবদলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক পার্থ দেব মণ্ডল।
বিজ্ঞাপন
এইউ