নানা নাটকীয়তার পর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ দলটির নির্বাচিত হওয়া এমপিরা যখন সংসদে গেছেন, তখন দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ করতে জড়ো হয়েছেন নেতাকর্মীরা।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা না করা, নেতাকর্মীদের সেন্টিমেন্টের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়াসহ দলের চেয়ারম্যানের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে একদল নেতা ছুটে গেছেন দলটির বনানী কার্যালয়ে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার পর জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। তারা দলের বর্তমান নেতৃত্বে বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেখানে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাপার কয়েকজন প্রার্থী ও সমর্থকরা উপস্থিত আছেন।
পার্টির কয়েকজন কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ জাপার শীর্ষ কয়েক নেতা নেতাকর্মীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করতে পারেন বলে জানা গেছে।
এর আগে এস বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডিতে জাপার সিনিয়র নেতারা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে দলের দুইজন কো-চেয়ারম্যান, ছয়জন প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ ২১ জন সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক থেকে পার্টির অপর দুই কো-চেয়ারম্যানের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন বৈঠকে উপস্থিত শীর্ষনেতারা।
আরও পড়ুন
নির্বাচন অংশগ্রহণ নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর শেষমেশ ভোটের লড়াইয়ে অংশ নেয় এরশাদের হাতে গড়া দল জাতীয় পার্টি। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলটির ব্যাপক ভরাডুবি হয়। সমঝোতা হওয়া ২৬টি আসনের মধ্যে মাত্র ১১টি আসনে জয় পায় জাপা। এছাড়া সমঝোতা না হওয়া কোনো আসনে দলটির একজন প্রার্থীও বিজয়ী হতে পারেনি। এমনকী বেশিরভাগ আসনে জামানত হারিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের তারিখ জানানো হলে দলটি গতকাল জাপার পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নেবেন না। এ নিয়ে দিনভর চলে নানা নাটকীয়তা। পরে সংসদ সদস্যের শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানায় জাতীয় পার্টি।
বিইউ/এমআর