শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন: বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন: বিএনপি
ছবি- সংগৃহীত

নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বিএনপি এবার নতুন নির্বাচনের দাবিতে নতুন কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে। দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি। 

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় দুই দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 


বিজ্ঞাপন


৭২ দিন পর গুলশান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং বেগম সেলিমা রহমান।
 
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। 

আরও পড়ুন

এবার ভোট বাতিল ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামছে বিএনপি

নির্বাচনের বিষয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মঈন খান আরও বলেন, দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬৩টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করেছে, ডামি প্রার্থী দিয়েছে, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়েছে, তবু ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে পারেনি। সরকারের প্রতি যদি মানুষের আস্থা থাকত মানুষ নিজেই ভোট দিতে আসতো।


বিজ্ঞাপন


৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, প্রথমে বলা হলো ২৭.৫ পারসেন্ট ভোট পরেছে, টেকনলেজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই-একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে।

মঈন খান বলেন, আগামীতে সরকার যে সরকার গঠন করবে তা হবে- ফর দ্যা ডামি, বাই দ্যা ডামি, এমন ডামি সরকার চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়, কারণ তারা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছে 'অলিগার্ক'। সুতরাং জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি। 

 

আরও পড়ুন

নির্বাচন বর্জন করেছে জনগণ: রিজভী

আরেকটি নির্বাচনের জন্য বিএনপি আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার ভুয়া নির্বাচন করেছে। আমরা বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের আহ্বানে তারা ভোট দিতে যায়নি। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে কাল থেকেই আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হবে।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে মঈন খান বলেন, বিভিন্ন আসনের ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি। বাংলাদেশে যেখানে নির্বাচনের দিন ভোট প্রদান একটি রাজনৈতিক উৎসবে পরিণত হয়। সেখানে ১৯টি কেন্দ্রে একটি ভোট পড়েনি। এটা প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন প্রহসনের যে নাটক করেছে গতকাল-সেটি ছিল একটি প্রহসনের নির্বাচন। একটি ভুয়া নির্বাচন। শুধুমাত্র এই নির্দিষ্ট ১৯টি কেন্দ্রেই নয়, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি আসনেই এমন অনেক কেন্দ্রেই রয়েছে-যেখানে একটিও ভোট পড়েনি। কিংবা সারাদিন হয়তো ১০-২০টি ভোট পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে বিভিন্ন রকমের অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ নজিরবিহীনভাবে নিজেরাই নিজেদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে কৃত্রিম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে পারেনি। সর্বোপরি আওয়ামী লীগের একচেটিয়া ভোট বর্জন করেছে জনগণ।

বিইউ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর