দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আর খুললো না দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা। গত ২৮ অক্টোবর থেকে বন্ধ এই তালা কবে খুলবে তাও জানেন না নেতাকর্মীরা। ফলে দেখতে দেখতে কয়েকমাস পার হয়ে গেছে। যদিও এরই মধ্যে ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে চলছে একের পর এক কর্মসূচি। সবশেষ বিএনপিসহ বিরোধীদের ডাকে চলছে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল।
তবে কর্মসূচিতে সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানানো হলেও খুব একটা রাজপথে নামছেন না নেতাকর্মীরা। পর্দার অন্তরালে থেকেই হরতাল বা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। মাঠ পর্যায়ে দেখা মিলছে না উল্লেখযোগ্য কোনো নেতার।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে নেতাকর্মীশূন্য অবস্থায় তালাবদ্ধভাবে পড়ে রয়েছে দলটির প্রধান কার্যালয়। সেদিকেও পা বাড়াতে দেখা যায়নি কাউকে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির প্রধান কার্যালয় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দলটির প্রধান কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলেছে। কার্যালয়ের সামনে কোনো নেতাকর্মী নেই। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড়ে যাতায়াতের এই সড়কটিতে রয়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল। সেই সঙ্গে গণপরিবহনের চলাচল ও রয়েছে স্বাভাাবিক।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া কার্যালয়ের পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও দ্বায়িত্ব পালন করতেও দেখা গেছে।
এদিকে আগামীকাল রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে একযোগে সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে সারাদেশে শনিবার শুরু হয়েছে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার হরতাল। এদিন সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতাল চলবে। শান্তিপূর্ণ হরতালের এই কর্মসূচিতে সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। সমমনা একাধিক দল ও জোটের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও হরতাল দিয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ডাক দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ রয়েছে কার্যালয়। বিএনপি বলছে পুলিশের কারণে কার্যালয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে পুলিশ বলছে তাদের পক্ষ থেকে তালা খুলতে কোনো বাধা নেই।
এরমধ্যেই বিভিন্ন ধাপে অবরোধ ও হরতাল পালন করেছে বিএনপি। আর গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে আসছে দলটি।
বিইউ/এইউ