দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ৭ জানুয়ারি সারাদিন খেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি সারাদিন সকাল-সন্ধ্যা খেলা হবে। সুনামগঞ্জ, সুন্দরবন, কুতুবদিয়া, তেঁতুলিয়া সারাদেশে খেলা হবে একসঙ্গে।’
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাবিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রায় ছয় বছর আগে নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এক জনসভায় বিরোধীদলকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ‘খেলা হবে, ২৪ তারিখের পর খেলা হবে’। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর শব্দ দুটি প্রয়োগ করতে শোনা যায় মির্জা ফখরুলসহ বিরোধীদলের অনেক নেতাকেও। এর মধ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে শব্দ দুটির বেশি ব্যবহার করতে শোনা যায়।
মাঝে একদিন সচিবালয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর ব্যাখ্যাও দেন। বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাস্যরস উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেছিলেন, 'এটা একটা পলিটিক্যাল হিউমার (রাজনৈতিক হাস্যরস), যা পাবলিক একসেপ্ট করেছে। যে বাচ্চা ফুল বিক্রি করে, সেও আমার গাড়ি দেখেই বলে খেলা হবে, এটা মানুষ একসেপ্ট করে ফেলেছে।’
বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আবার ‘খেলা হবে’ শব্দ দুটির ব্যবহার করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘৭ জানুয়ারি খেলা হবে, খেলা হবে। ৭ তারিখে খেলা হবে, ফাইনাল খেলা হবে।’
বিজ্ঞাপন
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লুটপাট, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুর্নীতিবাজ, লুটেরারা সাবধান। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ৭ জানুয়ারি সারাদিন, সকাল-সন্ধ্যা খেলা হবে। সুনামগঞ্জ, সুন্দরবন, কুতুবদিয়া, তেঁতুলিয়া সারাদেশে খেলা হবে একসাথে।’
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি পালিয়েছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি কোথায় পালিয়েছে। ফাউল করে লালকার্ড, পালিয়েছে বিএনপি। এখন বোমা মারবে। তারেক টেমস নদীর ওপার থেকে নির্দেশ দিয়েছে বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। ওদের আন্দোলন ভুয়া।’
আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এক লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবহার করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেকার যুবকদের জন্য এক কোটি কর্মসংস্থান হবে। প্রতি বছরে ২০ লাখ করে এক কোটি। এটা তোমাদের জন্য শেখ হাসিনার উপহার।’
এমআর

