পোস্টারিং মাইকিং আর আর মাঝে মধ্যে শ্লোগানেরর মধ্য দিয়ে চলছে সংসদীয় আসন ঢাকা-৯ এলাকায় নির্বাচনী আমেজ। এই আসনে প্রার্থীও হয়েছেন নয়জন। তবে শক্তিশালী কোনো প্রার্থী না থাকায় অনেকটা ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছেন নৌকার হেভিওয়েট প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। তাকে ছাড়া আর কোনো প্রার্থীকে খুব একটা চেনেনও না এই আসনের মানুষ। প্রচার-প্রচারণায়ও শুধু নৌকার জোয়ার।
ঢাকা মহানগরীর খিলগাঁও ও সবুজবাগ থানার নাসিরাবাদ ইউনিয়ন, দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন, মাণ্ডা ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ আসনটি। এই আসনে টানা তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। এবারও তার ওপরেই ভরসা রেখে আওয়ামী লীগ।
বিজ্ঞাপন
নৌকার প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী ছাড়াও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আরও প্রার্থী হয়েছেন- লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির কাজী আবুল খায়ের, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির রুবিনা আক্তার (রুবি), টেলিভিশন প্রতীকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফে) মোহাম্মদ শফি উল্লাহ চৌধুরী, কাঁঠাল প্রতীকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো. আনোয়ারুল ইসলাম, একতারা প্রতীকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. মাহিদুল ইসলাম, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ কফিল, ছড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. নূরুল হোসাইন এবং মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের তাহমিনা আক্তার।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) মুগদা বাসাবো সবুজবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এলাকাজুড়েই নৌকার প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরীর পোস্টার। মুগদা মেডিকেলের সামনের এলাকায় দুয়েকটি জায়গায় লাঙ্গলের পোস্টার চোখে পড়লেও বাকিদের কোনো পোস্টার চোখে পড়েনি। এই এলাকার পানের দোকানদার আক্কাস বলেন, এখানে নৌকা ছাড়া আর কোনো প্রার্থীকে আমরা চিনি না। সাবের হোসেন চৌধুরী ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর লোকজনও দেখা যায় না।
কমিশনারের গলি এলাকার আরেক বাসিন্দা আবিদ আলী বলেন, প্রতিদিন শুধু সন্ধ্যার দিকে একটা মিছিল দেয় নৌকার পোলাপাইন। আর কাউরে খুব একটা দেখা যায় না।
সাবের হোসেন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। টানা তিনবারের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে বিএনপি নির্বাচনে এলে ভোটের মাঠ অন্যরকম হতো বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ এই এলাকা থেকে বিএনপির হেভিওয়েট নেতা মির্জা আব্বাস কিংবা তার স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস নির্বাচন করতেন।
টিএই/জেবি