আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। আসনটিতে মোট ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে ভোটের মাঠে তিনজনের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও বাকিদের তেমন তোড়জোড় লক্ষ্য করা যায়নি।
প্রচারণায় সক্রিয় থাকা ৩ প্রার্থী হলেন, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মনোনীত খোরশেদ আলম খুশু এবং সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত মো. নাঈম হাসান।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকা-১২ আসনের মগবাজার বাটারগলি, মধুবাগ, সাততারাগলি, ওয়ারলেস, গ্রীণওয়ে রোড ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।
এলাকাগুলোতে তিন প্রার্থীর পোস্টার দড়ি দিয়ে টানিয়ে রাখতে দেখা যায়। নতুন সংযোজন হিসেবে নৌকার প্রার্থীর কিছু পোস্টারে সংযোজন করা হয়েছে কিউআর কোড। তবে দড়ির পাশাপাশি মাংসের দোকানের সামনে, বৈদ্যুতিক পিলারে এবং মানুষের বাড়ির দেওয়ালেও পোস্টার দেখা গেছে। এমনকি বাটার গলিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের চারটি রঙিন পোস্টারও দেখা গেছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এদিকে, এলাকাগুলোতে নৌকার প্রার্থীর একাধিক নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র চোখে পড়েছে। বাটার গলির মগবাজার কনভেনশন সেন্টারের পেছনে ইয়াকুব ম্যানশনের নিচতলায়, ওয়ারলেস রেলগেটসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র। এর মধ্যে ওয়ারলেস রেলগেট এলাকার প্রচার কেন্দ্রে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দলীয় নির্বাচনী থিম সং ও নিজস্ব গান প্রচারের মাধ্যমে নৌকার প্রার্থীর প্রচার চালানো হচ্ছে।
তবে জাতীয় পার্টি ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীর এ ধরনের কোনো প্রচার কেন্দ্র চোখে পড়েনি। এমনকি তৃণমূল বিএনপির মো. নাঈম হাসানের পোস্টারের সংখ্যাও তুলনামূলক কম। বিশেষ করে দড়িতে টানানো তার পোস্টার চোখে পড়েনি। এছাড়া আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান, টেলিভিশন প্রতীকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. আতিকুর রহমান নাজিম এবং মোমবাতি প্রতীকের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আব্দুল হাকিমের পোস্টার বা প্রচার কেন্দ্র চোখে পড়েনি।
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রচার নিয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা বলছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও প্রাথীদের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তবে এসব কিছুর মধ্যেও নৌকার মাঝি আসাদুজ্জামান খান কামালকে এগিয়ে রাখছেন তারা। বাকি প্রার্থীরা কে, সে বিষয়েও ধারণা কম স্থানীয়দের।
মগবাজারের বাটার গলির মুদি দোকানি আমিরুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, নির্বাচন ৭ তারিখে। কিন্তু এখনও নৌকার প্রার্থী ছাড়া বাকিদের তেমন তৎপরতা দেখছি না। জাতীয় পার্টির কিছু পোস্টার দেখা গেলেও বাকিদের পোস্টারও দেখছি না। আর প্রার্থীদের কেউ এই এলাকায় এসেছে বলে আমার চোখে পড়েনি।
এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) মালিবাগের বায়তুল আজিম শহীদী জামে মসজিদে আসরের নামাজ শেষে প্রচারণায় অংশ নেন নৌকার মাঝি স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মালিবাগ রেলগেট ও আশেপাশের এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন এবং নৌকার পক্ষে ভোট চান।
ঢাকা-১২ কে স্মার্ট এলাকা করার ঘোষণা দিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিগত সময়ে এই এলাকার অনেক উন্নতি হয়েছে। জনগণ ডিজিটাল হয়েছে। এখন এলাকার মানুষের আরও উন্নয়নের জন্য কাজ করব, যেন তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে পারে।
এমএইচ/এমএইচএম