মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বিরোধীদের ফাঁসাতে সরকার পরিকল্পিত নাশকতা করছে: নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

বিরোধীদের ফাঁসাতে সরকার পরিকল্পিত নাশকতা করছে: নুর

বিরোধীদের ফাঁসাতে সরকার পরিকল্পিত ভাবে নাশকতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুলহক নুর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হাত ভেঙে দিতে, পুড়িয়ে দিতে বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। এখন তারা বিরোধী নেতাদের বাসা-বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ করছে। 

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে অসহযোগ আন্দোলনের গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পথসভায় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


নুর বলেন, দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর পুনট্রি এলাকার গণঅধিকার পরিষদের এক নেতার বাসায় রাতের আধারে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালায় আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা। এরা পাকিস্তানের হানাদারদের চেয়েও ভয়ংকর। এসবের দায়ে পার পাবেন না। 

তিনি আরও বলেন, সরকার বিরোধীদের ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করছে। ১৭ তারিখ ডিএমপি থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে ১৯ তারিখ স্ট্যান্ডবাই ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তারা ১৯ তারিখ ভয়াবহ নাশকতা করে বিরোধীদের ওপর দায় চাপিয়ে জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তুলবে এটা সরকারের প্ল্যান ছিল। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী রেলে আগুন দিয়েছে। 

নুর বলেন, এর আগে গাজীপুরেও একই কাজ করেছে। এমনকি তদন্তের আগেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন- এগুলো হরতাল-অবরোধকারীরা করেছে। এটা পরিস্কার যারা এগুলো বলছেন, তারাই এ কাজ ঘটিয়েছেন। আপনারা দেখেছেন ঈসরাইল হামাসকে নির্মূল করার জন্য ফিলিস্তিনের সুড়ঙ্গগুলোতে পানি ঢালছে, এসব কাজ শয়তান ছাড়া করতে পারে না। একইভাবে এই সরকার ১৩ সালে বালির ট্র্যাক রেখে পথ বন্ধ করেছে, আন্দোলন ঠেকাতে গাড়ি পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে, নাশকতা করেছে। এখনও করছে। এগুলো ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের এজেন্সি করছে।

তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পাশের দেশের গোলামি করছে। বাংলাদেশে কে সরকারি দল হবে, কে বিরোধী দল, এমপি হবে তারা ঠিক করে দেয়। এভাবে বাংলাদেশকে একটি সংঘাতপূর্ণ ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে ভারত এই একতরফা নির্বাচনকে সহযোগিতা করছে। হরতাল-অবরোধের পর অসহযোগ আন্দোলনের বিকল্প নাই। এই আন্দোলন বিভিন্ন ধাপে সাজানো। সময়মতো সঠিক কর্মসূচি হবে। তিন দিনের গণসংযোগের পরও ২৪ ডিসেম্বর সর্বাত্মক অবরোধ হবে। ৭ তারিখের আগেই চূড়ান্ত ফলাফল অর্জন করতে হবে। দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় জনগণকে এই আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানাই।


বিজ্ঞাপন


দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, গতকাল সিলেটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে নৌকা, ডামি নৌকা, স্বতন্ত্র নৌকার প্রার্থীরা সব এক মঞ্চে বসেছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের বিপরীতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র, ডামি প্রার্থী। এটা কোনো নির্বাচন? এই নির্বাচন জনগণ বর্জন করেছে। ‘আমরা ও মামুরা মিলে’ যে নির্বাচন, এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দয়াদাক্ষিণ্যে ২৬টি আসন ভাগ পেয়ে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে গিয়েছে। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে গেলেই নির্বাচন বৈধ হয়ে যাবে না।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন— উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম,আব্দুজ জাহের, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।

টিএই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর