অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণার পরপর আগামী রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এছাড়া বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার (২১-২৩ ডিসেম্বর) টানা তিন দিন দলটি অসহযোগ আন্দোলন সফলের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করবে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য দলগুলোও একই কর্মসূচি পালন করবে। বিকেলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মন্ত্রী ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম সংবাদ সম্মেলনে এসে অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করন।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
অলি আহমদ বলেন, ‘দুর্নীতি, অন্যায় ও অবিচারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমান পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, জনগণ ভোটের অধিকার হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশ ও জনগণ উপকৃত হবে না। বরং এই হটকারি ভাগাভাগির নির্বাচনের কারণে দেশ ও জনগণ এক গভীর সংকটে পড়বে। ক্ষমতালোভীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। এই নির্বাচন কখনো গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে না।’
এর আগে দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে বলা হয়-
১. আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন করুন। নির্বাচনের নামে ৭ জানুয়ারি’র ‘বানর খেলা’র আসরে অংশ নেবেন না। আপনারা কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এটি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার।
২. নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি কাকে এমপি ঘোষণা করবে গনগণভবনে সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। সুতরাং, ৭ জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচনে’ ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন।
৩. বর্তমান অবৈধ সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন।
৪. ব্যাংকগুলো এই অবৈধ সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম। সুতরাং, ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না সেটি ভাবুন।
৫. মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মী আপনারা আজ থেকে আদালতে মামলায় হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনাদের প্রতি সুবিচার করার আদালতের স্বাধীনতা ফ্যাসিবাদী সরকার কেড়ে নিয়েছে।
জেবি