নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নসরুল হামিদ। তবে মানুষ এই সন্ত্রাসের জবাব দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কোন্ডা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বীরবাঘৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না এসে তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার সুযোগ হারিয়েছে। প্রকৃত অর্থে তাদের জনপ্রিয়তা- জনসম্পৃক্ততা নেই বলেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এখন তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রতিহত করার ষড়যন্ত্র করছে। আজ সকালেও এক শিশুসহ চারজন নিরীহ মানুষকে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে হত্যা করেছে। এর জবাব সাধারণ মানুষ ৭ জানুয়ারি ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে দেবে।’
নসরুল হামিদ অভিযোগ করেন, ‘কেরানীগঞ্জেও বেশ কিছুদিন বিএনপির অব্যাহত অগ্নিসন্ত্রাস চলেছে। জনগণ তাদের প্রতিহত করেছে। এসব অগ্নিসন্ত্রাসীর কোনো জনপ্রিয়তা নাই-জনভিত্তি নাই, তাই তারা জনমনে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাদের যদি জনপ্রিয়তা থাকত, জনভিত্তি থাকত, তাহলে ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করত।’
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে সারাদেশের মতো কেরানীগঞ্জে যে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে তা তিনি তুলে ধরেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে কেরানীগঞ্জের সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার যে উন্নতি তা তার বক্তব্যে ওঠে আসে।
এ সময় নসরুল হামিদ ৭ জানুয়ারি নিঃসঙ্কোচে নির্ভয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ম.ই মামুন, কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর ইকবাল বাপ্পিসহ স্থানীয় নেতারা।
কারই/জেবি