মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন চলে এলেও এখনো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি জাতীয় পার্টির। এমন পরিস্থিতিতে দলের কো-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। আসন নিয়ে নিজেদের দাবি পূরণ না হলে ভোটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত দলটির থাকার বিষয়ে কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
অবশ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। বিকেল চারটার মধ্যে প্রার্থীতার বিষয়টি ফাইনাল হবে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হলেও জাপার শর্ত এখনও পূরণ করেনি আওয়ামী লীগ। যে কারণে সকালে কো-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জিএম কাদের।
এদিকে বনানীর জাপা কার্যালয়ের সামনের রাস্তার দুপাশ কিছু পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। পাশাপাশি নেতাকর্মীরাও অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিচ্ছেন।
এর আগে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাত পর্যন্ত বৈঠকে ও আসন নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা না হওয়ায় দলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। বিশেষ করে দলের শীর্ষ একাধিক নেতার আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকায় নিশ্চিত ভরাডুবির ঝুঁকি নিতে চায় না জাপা।
রোববার বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বনানী কার্যালয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরেই জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সালমা ইসলাম উপস্থিতি হন।
বিজ্ঞাপন
জাপা সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান ও যমুনা গ্রুপের কর্ণধার সালমা ইসলাম এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির আসন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
কাজী ফিরোজ রশীদের আসনে নৌকার প্রার্থী সাঈদ খোকন, রুহুল আমিন হাওলাদারের আসনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন মনোনয়ন পেয়েছেন।
এরইমধ্যে কাজী ফিরোজ রশীদের পক্ষ থেকে সাঈদ খোকন থাকলে ভোট না করার আভাস পাওয়া গেছে।
বিইউ/এমআর