শরিকরা আপত্তি করলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জোটের শরিকদের আপত্তি ও দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে এবার রেকর্ড সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এক হাজার ৯৬৪ জন। আর বাকি ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। মোট প্রার্থীর ২৭ শতাংশই স্বতন্ত্র। আওয়ামী লীগের বর্তমান ৬০ জন সংসদ সদস্য দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া দলটির আরও অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার করেছেন।
এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে ক্ষমতাসীন দলটির ভেতরেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দলের মনোনয়ন পাওয়া অনেকেই চান স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়া হোক। কোনো কোনো আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৪-দলীয় জোট ও মিত্রদের জন্যও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেন, নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভূমিকা রাখবেন।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, জোটের শরিকদের আপত্তি ও দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।
বিজ্ঞাপন
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ নেই।
দেশ ও জাতির নিরাপত্তার জন্য বিএনপি-জামায়াত বড় হুমকি এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কারণে দেশের সার্বিক গণতন্ত্র সংকটের মুখে। দেশকে খাটো করতে বিদেশিদের কাছে বদনাম করে কিছু লোক ও বিএনপির মতো কিছু দল। বিএনপি মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি করে। বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি মানেই যানবাহনে আগুন, সহিংসতা, গুপ্ত হামলা। গতকালও বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বলতে চাই, সহিংসতা করে সন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। তারা যদি মনে করে সহিংসতা করবে আর সরকার বসে থাকবে তা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কারই/এমআর