সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বিএনপির ডাকা ৩৬ ঘণ্টা অবরোধের সমর্থনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মশাল মিছিল হয়েছে। মিছিলে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিপেটার অভিযোগ করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। এ সময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে আটকও করা হয়। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পান রিজভী।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে মশাল মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনের সামনে গেলে পুলিশ অতর্কিতভাবে মিছিলে হামলা ও লাঠিপেটা করে। পুলিশের হামলা থেকে নেতাকর্মীরা রুহুল কবির রিজভীকে নিরাপদে সরিয়ে নেন। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি।
বিজ্ঞাপন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জসিম শিকদার রানা, ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শরিফ প্রধান, ঢাবির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহামেদ , ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম তারিক, বি এম কাউসার, রায়হানুল ইসলাম বাবু, পাভেল, সোহাগ, সাইদুল হীরা, রাহলি বিশ্বাস, শিবলী, আরিফ হোসেন, জুয়েল, খালিদ হাসান হৃদয়, সৌমিক আহমেদ অরণ্য, রিমু হোসাইন, মোকলেছুর রহমান, কিরণসহ ছাত্রদল, যুবদল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
গত ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশ বানচাল হয়ে যায়। এরপর থেকে দলটি হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিয়ে আসছে। কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে না পড়লেও রিজভীকে প্রায়ই দেখা যায় ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করতে। মাঝে তিনি রাজশাহীতে গিয়েও অবরোধ চলাকালে মিছিল করেন। তবে তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছেন বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
বিইউ/জেবি