শুধু বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, জনগণকে নিয়ে রাজপথে নামতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল, উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র, সরকার কারো কথা শুনছে না। তারা বিরোধীদল বিহীন কম্বোডিয়া মার্কা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত "শিকল ভাঙার গান" শিরোনামে দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর গানের মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, এই আন্দোলনে পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নাই। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ আমলে, পাকিস্তান আমলে, বঙ্গবন্ধুর সময়ে ৭৪ এ, এমনকি ৯০ এ এরশাদের সময়েও প্রতিবাদী গান, কবিতা লেখা হতো। আর আজকে কবি, শিল্পি, সাহিত্যিকরা গোলামির দাসত্ব বরণ করছে, দালালি করছে। এই সরকারের সময়ে যদি কাজী নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকতেন তাহলে তাকে কারাগারে বিদ্রোহী কবিতা, গান লেখার জন্য কারাগারে যেতে হতো, রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে 'নৌকা ডুবি ' উপন্যাসের জন্য কারাগারে যেতে হতো। এ সরকারের হাতে ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক , রাজনৈতিক নেতা-কর্মী কেউই নিরাপদ নয়। কাজেই সকলকে রাজপথে নামতে হবে। শুধু ঘরে-বসে লাইক, কমেন্ট করলে আর ইউরোপ-ইউরোপ-আমেরিকার দিকে চেয়ে থাকলে পরিবর্তন হবে না।
বিজ্ঞাপন
দলটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলাম শিকল ভাঙার গান লিখেছেন, আর এখনকার কবি-সাহিত্যিকরা তেল মেরে নৌকায় উঠতে ব্যস্ত। আগে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বিকল্প হতো, কিন্তু এখন কবি, নায়ক-গায়করা প্রতিবাদ করে না। সবাই তেল মেরে সুবিধা পেতে মরিয়া। আজকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন অনেক দেশে বিরোধীদল ছাড়াও নির্বাচন হয়। তার মানে কি? আওয়ামী লীগ যে বিরোধীদল ছাড়া একতরফা নির্বাচন করছে, সেটি নিজেরাই স্বীকার করে নিয়েছে। ১৪ সালে একতরফা নির্বাচন করার জন্য রওশন এরশাদ আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছিলো। তার ফল এবার তিনি পেয়েছেন। যারা ফ্যাসিবাদের দালালি করবে, তাদের পরিণতি এমনই হবে।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, আমরা কবি নজরুল উত্তরসূরি। আমরা নজরুলের গানে বলীয়ান। যুবরা সকল অনিয়ম ও দুঃশাসন ভেঙ্গে এদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। যারা এদেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার ধ্বংস করেছে তাদের প্রতিহত করার সময় এসেছে। সকল তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে রাজপথে নামার এখনই সময়।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুুর রহমান প্রমুখ।
টিএই/এমএইচএম

