মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘যারাই দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে যাবেন, তারাই প্রতারিত হবেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

‘যারাই দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে যাবেন, তারাই প্রতারিত হবেন’

গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘যারাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন, তারাই প্রতারিত হবেন। ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি বছরখানেক আগে বলেছিলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, ১৮ সালে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এই কারণে দেখেন এইবার তার আসনেও নৌকার নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। যারা সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তার প্রত্যেকেও এই পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

বুধবার (২৯ নভেম্বর) তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা অষ্টম দফার অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


অবরোধ সমর্থনে একটি মিছিল পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে অনেকে নির্বাচনে যাচ্ছে, কিন্তু গতকালই দেখেছেন তৃণমূল বিএনপির এক নেতার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। মিডিয়ার উপস্থিতিতে কোনো একজনের সাথে কথা বলছেন। তাকে যে আসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেই আসন আর দেওয়া হচ্ছে না। যারাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন, তারাই আওয়ামী লীগের দ্বারা প্রতারিত হবেন। আমাদেরকেও নানা চাপ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু গণঅধিকার পরিষদ জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে নির্বাচনে যাবে না।’

রাশেদ আরও বলেন, ‘কেন সাকিব আল হাসানকে নমিনেশন দেওয়া হলো? আন্তর্জাতিক মহলকে বোঝানোর জন্য যে, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আমার সাথে আছে। ফেরদৌসদের কেন নমিনেশন দেওয়া হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বিশ্বকে দেখানোর জন্য যে, তারকারা আমাদের সাথে আছে। সাকিব আল হাসান, মাশরাফি, ফেরদৌসদের দিয়ে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখানো যাবে না। এইবার পুরো বিশ্ব অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। কারণ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বড় দুটি দল। বিএনপির মতো বড় দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সুতরাং এইবারও যে পাতানো নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেটা সবার কাছে স্পষ্ট। কিছুদিন আগে জাতীয় পার্টি নানা তালবাহানা করল যে, তারা নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচনের পরিবেশ নেই। সেই তারা ভাগবাটোয়ারা মিলে যাওয়ায়, এখন নির্বাচনে যাচ্ছে। যারাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন যাবে, তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, তাদের পরিণতিও মুসলিম লীগের মতো হবে। মুসলিম লীগকে যেমন হাতে হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না, আপনাদেরও অবস্থাও তাদের মতো হবে।’

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল হাসান, জিলু খান, আনিসুর রহমান, যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন


টিএই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর