আওয়ামী লীগ থেকে সাকিব আল হাসানের মনোনয়ন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে জুয়া খেলায় পরিণত করেছে। সাকিবের মতো জুয়াড়িরা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পায়। সাকিব বিশ্বসেরা ক্রিকেটার হলেও তার আচরণ, অপকর্ম সম্পর্কে সকলের জানা।
তিনি বলেন, সাকিব, ফেরদৌস কিভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পায়? দুঃখজনক ও দুভার্গ্য সামাজিকভাবে পরিচিত কিছু মানুষ সুবিধার জন্য স্রেফ আওয়ামী লীগের নগ্ন দালালি করছে, ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৭ নভেম্বর) তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা সপ্তম দফা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অবরোধ সমর্থনে একটি মিছিল পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, সরকার রাজনীতিকে তামাশায় পরিণত করছে। নামসর্বস্ব দল যাদের নেতা নাই, কর্মী নাই তারা আজ নির্বাচন করছে, আবার বিরোধী দলও হতে চায়। দালাল ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব চেনার সুযোগ জনগণের সামনে এসেছে। এখন সময় কারা দেশপ্রেমিক আর কারা দালাল সেটা চিহ্নিত করার।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, জনগণের আস্থা রাখার মতো একটা প্রতিষ্ঠানও রাখে নাই। সব জায়গায় দুর্বৃত্তায়ন, দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগ আজকে মানুষের সাথে সবচেয়ে বেশি অবিচার করছে। আইজিপির ভাই, প্রধান বিচারপতির ভাই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সবাইকে টিস্যুর মতো ব্যবহার করছে। সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, খেলোয়াড় নাঈমুর রহমানকে এমপি বানিয়েছিলো, ব্যবহার করে আবার টিস্যুর মতো ফেলে দিয়েছে।
নুর বলেন, জনগণকে বলব হতাশ হওয়ার কিছু নাই; পৃথিবীর বহু দেশে স্বৈরাচাররা শাসন করেছে , আবার নির্মম পতনও হয়েছে। সরকার কম্বোডিয়া মার্কা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশে কম্বোডিয়া মার্কা নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। জনগণ সেই নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠাবে। প্রশাসনের ভাইদের বলব, খেলা চলছে ফ্যাসিবাদ বনাম জনগণ। আপনারা এর মধ্যে আসবেন না।
গণঅধিকার পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ২৮ অক্টোবর ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আমাদের ওপর নানা রকম চাপ আসছে, নেতাকর্মীদের জেলে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। যতোই হামলা মামলা করা হোক, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। আমাদের বলা হচ্ছে, হয় শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাও, নতুবা কেরানিগঞ্জ-কাশিমপুর কারাগারে যেতে প্রস্তুত থাকো, আমরা জানিয়ে দিয়েছি প্রয়োজনে জেলে যাবো, তবুও এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত করব না।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, এডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, জিলু খান, সহ- নারী বিষয়ক সম্পাদক মীর দিলরুবা সুলতানা, যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।
টিএই/এমএইচএম