দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ দিনে ফরম প্রত্যাশীর সংখ্যা কম। তবে গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকাজুড়ে মিছিল-শোডাউনের কমতি নেই। আর নেতাকর্মীদের এসব শোডাউনকে অযাচিতভাবে দেখছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল এসেছে বেশ কিছু। এর মধ্যে কোনো নেতা তার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মনোনয়ন ফরম কিনতে। কেউ এসেছেন জমা দিতে।
বিজ্ঞাপন
কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী, মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যক্তি কিংবা তার প্রতিনিধিই কেবল বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। গত শনিবার মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিন থেকে বিষয়টি সেভাবেই নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমার শেষ দিনের চিত্রও একই। তবে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারলেও কেবলমাত্র নিজের জনপ্রিয়তা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিতে শত শত কর্মীকে সঙ্গে আনছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
যদিও গত ১৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কোনো প্রকার অতিরিক্ত লোকসমাগম ছাড়া প্রার্থী নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদান করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সেই নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশীকে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউকে নিজেদের দখলে রাখেন ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহিন আহমেদের সমর্থকরা। কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ পণ্যবাহী পরিবহনে, কেউ বা এসেছেন পায়ে হেঁটে। শাহিন আহমেদের কয়েক হাজার সমর্থকের অবস্থানের কারণে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি করে।
একইভাবে বড় মিছিল নিয়ে আসতে দেখা গেছে আরও বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে। এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গুলিস্তানের সাধারণ মানুষকে।
কারই/এমএইচএম