সরকার পদত্যাগ না করলে গণভবন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, জনগণ সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবরোধ পালন করছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে।
সর্বাত্মক অবরোধের তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্যকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এ দিন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বিকেল সাড়ে ৩টায় পল্টন টাওয়ারের সামনে থেকে অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি পানির ট্যাংকি মোড়, পল্টন মোড় ঘুরে আবারও পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
আরও পড়ুন
সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন, গণভবন ঘেরাও করে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। প্রশাসনের ভাইদের বলব- আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না, জনগণ আপনাদের শত্রু না। যারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তার পরিণতি খারাপ হবে। সরকার শ্রমিক আন্দোলনে হামলা করে মিরপুরে দুইজন, গাজীপুরে একজনকে হত্যা করেছে। এর আগে ২০১৩ সালে আলেমদের মেরেছে, রাজনীতিবিদদের মারছে, গণগ্রেফতার করছে। এদের হাতে কেউ নিরাপদ নয়। সকলে মিলে রাজপথে নেমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
বিজ্ঞাপন
দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ করে তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) মগবাজার থেকে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা উজ্জ্বলকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে, বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করছে। অনতিবিলম্বে গণঅধিকার পরিষদের নেতা উজ্জ্বলসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
অন্যদের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন অভিযোগ করেন, জনগণের আন্দোলনে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সরকার গণগ্রেফতার করেছে। বিএনপি মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করেছে। বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ ভিন্ন মতের রাজনৈতিক দলের নেতাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে, রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
রাশেদ খাঁন বলেন, গতকাল মগবাজার থেকে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা উজ্জ্বলকে তুলে নিয়ে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে, গ্রেফতার হয়ে জেলে। সরকার হামলা-মামলা করে আন্দোলন দমন করতে মরিয়া। অনতিবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যদের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল ইসলাম, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টিএই/আইএইচ