কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল উদ্বোধন হবে আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন করবেন। পরদিন থেকে টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে কর্ণফুলী পাড়ের মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি থেকে জানা যায়, তিনি পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি এবং টানেল পার হয়ে আনোয়ারায় নদীর দক্ষিণ তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর দুপুরে জনসভার মঞ্চে যাবেন। জনসভা শেষে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
টানেল উদ্বোধন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আরও কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী দিনের খাম এবং প্রথম পানির নিচের সড়ক টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহরও প্রকাশ করবেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে ঢুকতে শুরু করেছেন। এর আগে ভোরেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের জেলা থেকে বাস-ট্রাক-পিকআপে করে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা যাত্রা শুরু করেন। কেউ কেউ আগেভাগে এসেই আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলায় অবস্থান নিয়ে সকালে জনসভায় প্রবেশ করেছেন।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হবেন বলে আশা করছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ১০ লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে আমাদের জনসভা বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে নৌকার আদলে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ অনুষ্ঠানস্থলে স্যানিটেশন ও পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে এবং নারীদের নির্বিঘ্নে অংশগ্রহণের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে।
এইউ

