রাত পোহালে বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেয়ার আগে এই কর্মসূচি দলটি। নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে সারাদেশ থেকে ঢাকায় এসেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। যাদের ঢাকায় স্বজন নেই। হোটেলে থাকার সুযোগ নেই, এমন অসংখ্য নেতাকর্মী ঢাকায় এসেছেন দলের মায়ার টানে। কেউ কেউ আবার ঝামেলা এড়াতে পরিচিত বা স্বজনদের বাসায় না গিয়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাত গভীর হলে ক্লান্ত শরীরে পেয়ে বসে ঘুম। পরে হাতের ব্যাগকে মাথার বালিশ বানিয়ে রাস্তার আশেপাশে শুয়ে পড়েন তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
তবুও তাদের চোখেমুখে যেন নেই কোনো অস্বস্তি কিংবা ক্ষোভ নেই। তৃনমূল থেকে নেতাকর্মী বরং এমন কাজকে দলের জন্য অবদান বলে মনে করছেন তারা।
শুক্রবার দিবাগত রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা রাজিয়া সুলতানা জানান, শনিবার বিকেলে বিএনপির মহাসমাবেশ উপলক্ষে শুক্রবার এসেছেন ঢাকায়।
তার মতে, দলকে ভালোবেসে আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে আন্দোলনের শরিক হতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরেক নারী নেত্রী বাগেরহাটের খানজাহান আলী থেকে আসা থানা সভানেত্রী মেহেরুন। রাতে নয়াপল্টনেই আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুধু নারী নেত্রীরাই নন। দূর দুরান্ত থেকে এসেছেন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। অনেকেই হাতের ব্যাগকে মাথার বালিশ বানিয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন।
কুমিল্লার লাকসাম থেকে আসা যুবদল নেতা ইমরান হোসেন জানান, ঢাকায় ঘনিষ্ঠ স্বজনদের বাসা না থাকায় এখানেই রাত কাটাবেন। হোটেলে উঠলে পুলিশি তল্লাশি ও গ্রেফতারের শঙ্কা থাকে। তাই গ্রেফতার এড়াতে নয়া পল্টনে খোলা আকাশকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
বিইউ/এজেড