বিএনপি ২৮ অক্টোবর কোনো হামলা করলে কিংবা জনগণের জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করে দলটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দুই ভাগে বিভক্ত। নগর উত্তর ও দক্ষিণে আছেন অভিজ্ঞ নেতারা। তাদের নির্দেশনা দেওয়া এবং কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে দেওয়ার জন্য আছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি।
আলোচনা টেবিলে উঠে এসেছে তাদের দায়িত্বে দুর্বলতার বিষয়৷ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে ঢাকা মহানগর উত্তরের আন্দোলন-সংগ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে। আর দক্ষিণে দায়িত্ব পেয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
দায়িত্ব পাওয়ার একদিনের মাথায় নগর উত্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক৷ শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে প্রায় দেড় ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ বেশ কয়েকজন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে এতে উপস্থিত নেতারা জানিয়েছেন, আসন্ন ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। নগর উত্তর আওয়ামী লীগের গতি আরও বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, 'ইটের জবাব পাথর দিয়ে দিবো, সে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএনপি যদি দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে আমরা তাদের প্রতিহত করবো।'
এই নেতা বলেন, 'আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর আঘাত করার শক্তি বিএনপির নেই। তারা পারে জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে। তারা যদি বাস ভাঙে, দোকানপাট ভাঙে, মানুষের সম্পদ বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, তাহলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের সমুচিত জবাব দেবে।'
জাহাঙ্গীর কবির নানক উত্তর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর এটি প্রথম বৈঠক। সংগঠনের গতি বাড়ানো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আগে থেকেই সক্রিয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি থাকলে কর্মীরা উজ্জীবিত হয়। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি।'
তিনি জানান, আগামী ২৫ অক্টোবর একটি প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানেও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়া ২৮ অক্টোবরের আগে কর্মী সভাও করবে নগর উত্তর। যা ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচির পূর্ব প্রস্তুতি।
কারই/জেবি

