শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মহাসমাবেশ ডেকেছে ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

Islami Andolon Bangladesh
ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ছবি: ঢাকা মেইল

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আগামী ৩ নভেম্বর এই সমাবেশের আগে ২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ করবে দলটি।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বাদ জুমা বায়তুল মুকাররমের দক্ষিণ গেটে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী যুব আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র-যুব সমাবেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।


বিজ্ঞাপন


সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরকারেরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত শোধ করার সময় হয়ে গেছে, দেশ ও জাতির সাথে প্রতারণার কুফল তাকে ভোগ করতেই হবে।

 

আরও পড়ুন

‘একদলীয় নির্বাচনের আয়োজন প্রতিরোধ করা হবে’

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ভোটের সংস্কৃতি নির্মূল, উন্নয়নের নামে দেশের সম্পদ লুট করা, সন্ত্রাস ও অর্থ পাচার করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার কারণে এই সরকার এখন গণধিকৃত ও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সরকারের লোকজনের বেফাঁস কথাবার্তা শুনেই বোঝা যায় দেশি-বিদেশি চাপে তারা বেসামাল হয়ে গেছে।


বিজ্ঞাপন


 

ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ডাকাত যতই শক্তিশালী হোক, বাড়ির মালিক একটু হুমকি দিলেই সে ভয় পায়। সুতরাং ভোট ডাকাতদের রুখে দাঁড়ালেই তারা তল্পিতল্পা নিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল জনগণের ভোটাধিকার সংরক্ষণ, মৌলিক অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু আওয়ামী সরকার জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে। সরকারের সকল দুর্নীতির হিসাব এ দেশের মাটিতে পাই পাই করে দিতে হবে।

 

আরও পড়ুন

আপস করে ক্ষমতায় যেতে চায় না বিএনপি: ফখরুল

চরমোনাই পীর বলেন, সরকার দুর্নীতির টাকায় খেয়েদেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে নিজেদের বাঘ মনে করছে, কিন্তু তারা জানে না শিকারিরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আক্রমণ করে বাঘও তখন পরাজিত হয়।

 

ছাত্র-যুব সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

টিএই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর