বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকারের মশাল মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকারের মশাল মিছিল

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ)।

রোববার (০৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রীতম জামান টাওয়ারের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। পল্টন মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।


বিজ্ঞাপন


গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী খুনী ও হামলাকারী। ইসরায়েল গত ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনে দখলদারিত্ব করে নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের নারী-শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছে না এই ইহুদি দখলদার বাহিনী থেকে। বাংলাদেশ সরকারের নিরবতাই প্রমাণ করে এই সরকার ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিলে শক্তভাবে পাশে দাঁড়াত।

তিনি আরও বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা বাংলাদেশের মাটিতে বসে ইসরায়েলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন ভূখণ্ড ফিরিয়ে দিতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানাই। একই সাথে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশে বসে কাউকে ইসরায়েলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না ইনশা আল্লাহ।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জিসান মহসীন বলেন, আমরা বিশ্বের সকল বিবেকবান গণতন্ত্র ও মানবাধিকারপন্থীদের অবৈধ দখলদারদের পক্ষ ত্যাগ করে নির্যতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাই। পবিত্র ভূমিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।

যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে কুখ্যাত মোসাদ এজেন্টদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বয়কট ও প্রতিরোধ করতে হবে। ঢাকাতেও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ রাজনৈতিক দলের ব্যানারে কাজ করছে, ঢাকায় কার্যালয় খোলার ঘৃণ্য চেষ্টা করছে। জনগণকে আহ্বান জানাই, ঢাকায় বেনামি মোসাদ কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়ে মোসাদ এজেন্টদের প্রতিহত করে শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ান।


বিজ্ঞাপন


যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, এই অবৈধ ইসরাইলই আরব উপদ্বীপের শান্তি বিনষ্টের মূল। অবৈধ ইসরাইলি দখলের বিরুদ্ধে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করতে হবে। রাজনৈতিক, কূটনীতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইহুদিদের বর্বরতা রুখে দিতে হবে।

বাংলাদেশের জনগণের অবস্থান তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই বাংলাদেশের মানুষ নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন ভূখণ্ডের পক্ষে এবং ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপসহীন। এটা আমাদের জাতীয় কমিটমেন্ট। জাতীয় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বেইমানি করে বর্তমান সরকার পাসপোর্ট থেকে ‘এক্সেপ্ট ইসরাইল’ শব্দটি বাতিল করেছে। আমরা অবিলম্বে সকল পাসপোর্টে এ শব্দ পুনসংযোজনের দাবি করছি। সেই সঙ্গে নানা কৌশলে ইসরাইলের দালালি প্রতিহত করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি।

মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন— গণঅধিকার পরিষদের নেতা সাদ্দাম হোসাইন, জিয়াউর রহমান, ইমাম উদ্দীন, ইকবাল হোসেন সুমন, ছাত্র নেতা নায়েক নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।

টিএই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর