বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরিয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে আর কোনো ধোঁকাবাজি নয়; নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সরকারকে দ্রুত সম্ভব পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এছাড়া জাতির চলমান সংকটের উত্তরণের অন্য কোনো পথ খোলা নেই। নির্বাচিত সরকার না থাকায় দ্রব্যমূল্যসহ বিভিন্ন সংকটে জনগণ জর্জরিত। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।
বিজ্ঞাপন
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, আলেম—উলামাদের ওপর হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহর (সা.) কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাস করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, দাওয়াত ও তাবলিগ সম্পাদক মাওলানা সাজেদুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নগর সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইন, অধ্যাপক মাওলানা নজরুল ইসলাম, মুফতি আখতারুজ্জামান আশরাফী, মুফতি জসিম উদ্দীন, মাওলানা তানজীল হাসান, মুফতি রেজাউল করিম, যুব আন্দোলনের সহসভাপতি গাজী আব্দুর রহীম, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আল—আমীন, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ জাকির বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর আলম প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান কাসেমী এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, এদেশের মানুষ আর ইভিএমের কারসাজির ভোট, রাতের বেলার ভোট দেখতে চায় না। এত এত উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। উন্নয়নের গতির সাথে তাল মিলিয়ে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে উলামায়ে কেরামকে মসজিদ পরিষ্কার রাখার সবক না দিয়ে সিটি করপোরেশনের উচিত মশার ওষুধ কিনতে যে দুর্নীতি হয় তা বন্ধ করা। আলেম—উলামাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। মহানবীর (সা.) কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাস করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার আদায় করতে পারেনি। এমনকি কোনো সরকার এখন পর্যন্ত একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেনি। এর দ্বারা এটাই প্রমাণ হয় কোনো তন্ত্রমন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের অধিকার আদায় হবে না। একমাত্র খেলাফত পদ্ধতির সরকারই পারে জনগণের অধিকার আদায় করতে। বাংলাদেশের জনগণ দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না।
বিজ্ঞাপন
জেবি

