বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ডাক্তার বারবার বলছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো না। উনাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য বারবার দাবি করলেও সরকার শুনছে না। খালেদা জিয়া যদি বিনা চিকিৎসায় মারা যায়, তাহলে শেখ হাসিনার বেঁচে থাকাও কঠিন হয়ে যাবে। বিদেশেও স্যাংশন দেওয়া আছে, কোথায় পালাবেন আপনি (প্রধানমন্ত্রী)।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে জিয়া মঞ্চের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলেও আওয়ামী লীগ করে না। মূলত নিম্নমধ্যবিত্তরা আওয়ামী লীগ করে। যার কারণে তাদের ক্ষুধা বেশি। এবার তারা এত বেশি খেয়েছে যে, তাদের পেটের অবস্থা কাহিল। শুনলাম কিছু ব্যবসায়ী আমোদ ফুর্তি ও কেনাকাটার জন্য আমেরিকা সফরকারীদের টাকা দিয়েছে। কেনার জন্য না কি কিছু পায়নি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে দেশের দুর্নীতি, গণতন্ত্রহীনতা, ভোট চুরির কারণে আমেরিকা জনগণের পক্ষে দাঁড়ালেও তারা আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা চায়, তাদের মতো যেন সকলের অধিকার সকলে ফিরে পায়। ক্ষমতায় আসার জন্য আমাদেরকেই কাজ করতে হবে। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় প্রয়াত জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণাই দেননি, যুদ্ধ করেছেন। বাকি সব পালিয়েছেন। আজ ওরা কৃতিত্ব নেন। স্বাধীনতার পর তাদের (আওয়ামী লীগ) চিরাচরিত চরিত্র ফুটে উঠেছে। জিয়া শুধু দেশ স্বাধীনতায়ই ভূমিকা রাখেননি, পরে এই আওয়ামী লীগ কর্তৃক লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিল। বিএনপি সবসময় দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলনে জয়লাভ করে, এবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেবে, ইনশাল্লাহ।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ছাড়াও জিয়া মঞ্চের আব্দুল হামিদ, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, আব্দুল আলীম, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিইউ/আইএইচ

