মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশিদের জন্য যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে তা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান। এই ভিসানীতি আওয়ামী লীগ কেয়ার করে না বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, শাহজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, ইলিয়াস আলী মোল্লা, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির সমালোচনা করে ফারুক খান বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমরা ভিসানীতি কেয়ার করি না। তারা তাদের দেশের জন্য ভিসানীতি করেছে। আমাদেরও ভিসানীতি আছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারো বিজয়ী করতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে ভোটারদের অংশ গ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে। আপনারা মানুষের দ্বারে দ্বারে যান। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, যারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। আজকের সমাবেশ তাদের জন্য দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছে। তারা বলছে জেলখানা ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। আরে আসেন না জেল ভাঙতে। সেদিন বুঝাইয়া দেওয়া হবে আওয়ামী লীগ কী করতে পারে।
বিজ্ঞাপন
আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি কেউ নির্বাচনে বাধা দেয়, আগুন সন্ত্রাস করে তবে তাদের এই দেশে থাকতে দেয়া হবে না। সময় অনুযায়ী ও সংবিধান মতে আগামী নির্বাচন হবে। তাই নেতাকর্মীদের রাজপথে সজাগ থাকতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির হাঁকডাক হচ্ছে খালি কলসি বেশি বাজার মতো। আজকে অনলাইনে দেখলাম বিএনপি নেতারা বলেছেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটানো হবে। আমরাও প্রস্তুত আছি, আমরা বিএনপিকে ঘেরাও করবো। তাদের এবার শিক্ষা দেবো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেব বলছেন, ভিসানীতির কারণে তাদের আন্দোলন নাকি বেগবান হয়েছে। কিন্তু তারা হয়তো ভুলে গেছেন ভিসানীতির আওতায় বিরোধী দলের নেতারাও আছেন।
মন্ত্রী বলেন, দিল্লি ও জাতিসংঘে শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনর সেলফিই প্রমাণ করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কতটা ভালো। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে মাথা ঘামায় না। আমাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সুতরাং এটা নিয়ে বিচলিত হবার কিছু নেই। এটা তাদের নীতি, তারা কাকে ভিসা দেবে আর কাকে দেবে না সেটা তাদের ব্যাপার।
কারই/জেবি
