পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করাই শেখ হাসিনার স্বপ্ন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর ভাষানটেক বাগানবাড়ি রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, শেখ হাসিনার চিন্তা দেশের মানুষের সেবা করা। কোনো উন্নত দেশেও এই ধরণের জনহিতৈষীমূলক কার্যকলাপ থাকে না। শেখ হাসিনা দেশের সকল নাগরিকদের সম্পৃক্ত করেছেন। এখন তার স্বপ্ন পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা। যেন আপনাদের ছেলে-মেয়েরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও প্রযুক্তি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে। সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের আওতাধীন ভাষানটেক থানার জনগণ উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারছে না। ধাপে ধাপে এই এলাকার সকল রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পানির সমস্যাসহ ভাষানটেক এলাকায় বসবাসকারী জনগণের নাগরিক সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের ফলে ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দরে মাত্র ১০ মিনিটেই পৌঁছানো যাচ্ছে। মানুষ সাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছে। সুতরাং মানুষের কর্ম যদি কথা বলে তাহলে শেখ হাসিনাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি ঢাকা শহর থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন করেছেন তার ফল দেশের জনগণ দেবে।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে লুটপাট, হত্যা, রাহাজানি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এগুলো ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অপারেশন ক্লিনহার্ট করতে হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে চুরি, লুটপাট, রাহাজানি নাই, যার কারণে অপারেশন ক্লিনহার্টের প্রয়োজন হয় না। মানুষের যদি সদিচ্ছা থাকে, দেশের প্রতি ভালোবাসা মমত্ববোধ থাকে, দেশের মানুষের প্রতি যদি দায়বদ্ধতা থাকে তাহলে সব অসাধ্য সাধণ করা সম্ভব।
সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের জন্য ১/১১ এর কুশীলবরা সোচ্চার উল্লেখ করে ঢাকা-১৭ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘যারা সুদখোর, যারা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, যারা গরিবের টাকা আত্মসাৎ করে এবং তাদের বিচার করতে গেলে ওই বিদেশি প্রভুরা চিঠি দেয়। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ন্যাক্কারজনক হস্তক্ষেপ করা এটা কোনো সভ্যতা? যারা সভ্যতার ছবক দেয় তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কীভাবে ন্যাক্কারজনকভাবে হস্তক্ষেপ করে।
বিজ্ঞাপন
‘আমাদের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন, বিচারালয়ের যে রায় সেই রায়ের বিরুদ্ধে তারা কীভাবে হস্তক্ষেপ করে? সুতরাং আমি ওইসব সভ্য সমাজের প্রবর্তক এবং বিবেকবান মানুষদের বলব শিষ্টাচার রক্ষা করেন। সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবেন না।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ৯৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন খান, ১৫নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাহিদা আক্তার শিলা, ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহির উদ্দিন, ভাষানটেক থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান নিলয় এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটসমূহের নেতারা।
কারই/এমআর

