সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তার মেয়ে ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম তৈমূর খন্দকার বলেছেন, একজন বিএনপি কর্মী হিসেবে আমার কোনো মন্তব্য করা এখানে নিষ্প্রয়োজন। শুধু এতটুকুই বলব, আমরা একজন একনিষ্ঠ ত্যাগী নেতাকে হারালাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ কথা বলেন মার-ই-য়াম তৈমূর খন্দকার।
বিজ্ঞাপন
সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাহী সদস্য আইনজীবী মার-ই-য়াম তৈমূর খন্দকার বলেছেন, অনেকেই ফোন করে আমার বাবা তৈমূর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব হওয়ার ব্যাপারে আমার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছেন। অনেকেই আবার বলছেন উনি কেন দল পরিবর্তন করলেন?
তিনি বলেন, আপনারা একটা বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছেন, উনি যখন বিএনপির সমমনা দল তৃণমূলে যান তখন তিনি মনে প্রাণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্দশ ধারণ করলেও বিএনপি থেকে ছিলেন বহিষ্কৃত। এই দেড় বছরে সব সমাবেশে তিনি সক্রিয়ভাবে হাজার হাজার কর্মী নিয়ে অংশগ্রহণ করলেও উনার মতো ত্যাগী নেতাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। বাবা দল পরির্তন করেননি। বরং যখন তৃণমূলে গেলেন তখন তিনি কোনো দলের ছিলেন না। তার সদস্য পদটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তার কি এই দলের জন্য কোনো অবদান ছিল না?
তৈমূরের মেয়ে বলেন, ২০১১ সালে বিনা নোটিশে মেয়র ইলেকশনের ৫ ঘণ্টা আগে বসিয়ে দেওয়া হলো। ওনাকে নির্বাচন থেকে বসিয়ে দেওয়া হবে সেটা আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৫ দিন আগেই কিভাবে জানলেন! বাবা বিনা প্রতিবাদে দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়ে চুপ করে ছিলেন। আপনি আমি হলে কি তা পারতাম! আমরা এখন সেই অবদানগুলোর কথা ভুলে গেলাম!
‘আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পরও বিরোধী দল বিএনপিতে যোগদান করে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, গুলি খেয়েছেন, দিনের পর দিন পরিবারসহ আত্মগোপন থাকতে হয়েছে! যে কোনো সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ যোগদান করেছেন! কি অবদান তিনি রাখেন নাই,’ বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আইনজীবী মার-ই-য়াম বলেন, এবারের মেয়র নির্বাচনে উনাকে বহিস্কার করার ১০ দিন আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জানেন তাকে বহিস্কার করা হবে!
সুপ্রিম কোর্ট এই আইনজীবী বলেন, জাতির কাছে প্রশ্ন, বিরোধী দলীয় প্রার্থী সেটা অগ্রীম কিভাবে জানেন! যেখানে দলের মহাসচিব ঘোষণা করেছিলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন যে কেউ স্বতন্ত্রভাবে করতে পারবে সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর অগ্রিম জানান এটা কিসের ইঙ্গিত দেয়!
ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম বলেন, আফসোস বাবাকে কোনো নোটিশ করা হলো না ও জবাবদিহিতার সুযোগ দেওয়া হয়নি। দেওয়া হলে ২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিএনপির কোন কোন নেতাদের উৎসাহ ও মদদ ছিল তা প্রকাশ্যে আসত।
এআইএম/এএস