দেশের কোর্টগুলো এখন বিরোধী দলের লোক দিয়ে ভর্তি বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, কোর্টে গেলেই বিএনপির লোকজনের সাথে দেখা হয়। বিরোধী দলের লোক। একেকজনের নামে দুইশ-আড়াইশ পর্যন্ত মামলার ইতিহাস তৈরি হয়েছে। ডক্টর ইউনূসের মতো লোকের বিরুদ্ধেও মামলা। আমারও দুইটা মামলা আছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। "সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচন সংবিধান সম্মত নয়" শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বিজ্ঞাপন
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আজকাল কথাবার্তা বলা খুবই মুশকিল। কয়েক মাস আগে বিএনপি সিক্স সিজন হোটেলে একটা সেমিনার করেছিল। ওইখানে তাদের বক্তব্যের মধ্যে একটা কথা ছিল এই অবস্থাটা বদলানো যায় যদি সরকারি দল ও বিরোধীদল মিলে একসাথে বসে সংসদে এটা নিয়ে আলোচনা করা যায়। আমি তাদেরকে প্রশ্ন করেছিলাম যে এরকম কি কিছু হবে?
তিনি বলেন, আমেরিকার লোকজন কতবার বাংলাদেশে এসেছে, আবার গেছে। তারা বারবার বলছে তারা বাংলাদেশে একটা ভালো নির্বাচন দেখতে চায়। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছে ভালো নির্বাচন কাকে বলে? মানে আমরা ভালো নির্বাচনের ডেফিনেশনই জানি না। আমাদের নির্বাচনের ডেফিনেশন নাই। গণতন্ত্রের ডেফিনেশন নাই। তার মধ্যে আবার ভালো নির্বাচনের ডেফিনেশন। তখন আমেরিকা জানিয়েছে যেই ভোটে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে এবং ভোটের রায়টা পুরা দেশে প্রতিফলিত হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, একটা সরকার ক্ষমতায় থেকে পরপর দুটো এত ফ্রড ইলেকশন করেছে সারা দুনিয়ার লোক তাকিয়ে দেখেছে। এও কি সম্ভব সারা দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টা আসনে ভোটের আগেই জিতে যায়। তবে ভোট কি হলো আর। ভোট কি আছে? আবার তার পরের বার জাপানের অ্যাম্বাসেডর বলেছেন আগের রাতে ভোট হয়েছে। এত কিছু হওয়ার পরেও তারা বলছে এত চমৎকার ভোট করলাম তারপরেও বিরোধীদল মানল না। কত কষ্ট তাদের।
মান্না বলেন, এই যে ব্যংকের কেলেঙ্কারি হচ্ছে, কিভাবে একটা কোর্ট সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয় সম্পত্তি কিভাবে ট্রান্সফার হলো এটার ব্যপারে কোনো তদন্ত করতে পারবে না। স্থগিত করা হলো। যতই বলেন, একটা কথা আছে না চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। এরা কোনো নীতি কথা শুনবে না। শুনতে পারবে না। শোনার ক্ষমতা নাই। তারা সব ধরনের নীতি থেকে বিচ্যুত হয়েছে। গণতন্ত্র বলেন, ভোট বলেন, অর্থনীতি বলেন, সমাজ বলেন, রাজনীতি বলেন, সব থেকে। সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা একটা কোম্পানিকে লোন দিলো বিশেষ কারণ দেখিয়ে। প্রয়োজনটা কি ব্যখ্যা নাই। যাদের খেলাপি আছে তাদেরকেও লোন দিচ্ছে। সমস্ত ব্যংক খালি করা হচ্ছে। সব কিছু আজ ধ্বংস করা হয়েছে। কাজেই এই মানুষ এখন চেয়ে আছে এই সরকার কবে যাবে।
আলোচনা সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
টিএই/এমএইচএম